ডিজিটাল হচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা
১১ জুলাই ২০১৮ ১৬:৩৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা আধুনিক ও সময়োপযোগী করতে ডিজিটাল হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরি বুধবার (১১ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী উদ্যানে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা অধিদপ্তরের একটি ‘কল সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে। এ মাসের ১৮ তারিখ থেকে এ কল সেন্টার কাজ করবে। ১৬৭৬৭ নাম্বারে ফোন করে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা মা-শিশুস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ পাওয়া যাবে।
এ ছাড়াও ফেসবুক ও ইউটিউবে পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে আন্তঃব্যাক্তি যোগাযোগ ও কাউন্সিলিং সংক্রান্ত তথ্য ও উপকরণ নিয়ে ই-টুলকিট ও ই-লার্নিং রাখা হয়েছে এবং কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য উন্নয়ণে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের পপুলেশন ফান্ডের প্রতিনিধি ড. আসা টোরকেলসন। তিনি জানান, ‘এ বছরের জনসংখ্যা দিবস তেহরানে হওয়া ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন হিউম্যান রাইটসের ৫০তম বার্ষিকী।’
এ ছাড়া স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রত্যাশ অনুযায়ী উন্নতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে পরিবার পরিকল্পনার চ্যালেঞ্জ এখনও বাংলাদেশের উপর রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বাল্য বিবাহকে চিহ্নিত করেন।’
ড. টোরকেলসন জানান, ‘এসব তরুণ নারীদের যদি যথাযত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়, তথ্য প্রদান অবাধ করা হয় তবে তাদের ভবিষ্যত আরও ভালো হবে।’
বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে পরিবার পরিকল্পনায় ১ ডলার সমপরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা হলে তা ১৪ ডলারের সমমানের সুফল পাওয়া যায়। এতে ৩০ শতাংশ মাতৃমৃত্যু হ্রাস পায়, ২০ শতাংশ শিশুমৃত্যু হ্রাস পায় এবং ৬৬ শতাংশ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করা যায়, বলে জানান তিনি।
‘পরিকল্পিত পরিবার সুরক্ষিত মানবাধিকার’ স্লোগানে এবারের জনসংখ্যা দিবসে বাল্য বিবাহ এবং প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে র্যালির আয়োজন করা হয়। বর্ণাঢ্য র্যালিটি যাদুঘর থেকে শুরু হয়ে ওসমানী উদ্যানে এসে শেষ হয়। র্যালি থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এমএ/এমআই