Saturday 01 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন যারা

মো. মহসিন হোসেন স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৪৪ | আপডেট: ১ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৯

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন যারা। ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

ঢাকা: সরকার ও নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। আর এদিকে মাঠের জন্য প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় দেশজুড়ে আসনগুলোতে প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল দিচ্ছে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তর দল বিএনপি।

জানা গেছে, এরই মধ্যে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৩৫টি আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন। এমনকি তারা ভোটের মাঠেও নেমে পড়েছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কারও নাম প্রকাশ করেনি দলটি। দলের বিভিন্ন সূত্রে কথা বলে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন-

বিজ্ঞাপন

খুলনা-১ আসন

বটিয়াঘাটা ও দাকোপ নিয়ে গঠিত আসনে মাঠে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং এর আগে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আমীর এজাজ খান, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার বন্ধু হিসেবে পরিচিত জিয়াউর রহমান পাপুল, সাবেক ছাত্রদল নেতা পার্থ দেব মন্ডল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শামীম কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি তৈয়েবুর রহমান এবং অ্যাডভোকেট গোবিন্দ হালদার। এ আসনে জিয়াউর রহমান পাপুল মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

খুলনা-২ আসন

সদর ও সোনাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, নগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা এবং নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। এই আসনে বিএনপি থেকে দীর্ঘদিন বহিষ্কার থাকা নেতা সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মনজু মনোনয়ন পাবেন- এটা প্রায় নিশ্চিত।

খুলনা-৩ আসন

দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহানআলী উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে এককভাবে প্রার্থী রয়েছেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বিগত নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল। এখানে বকুলই হচ্ছেন ধানের শীষের প্রার্থী।

খুলনা-৪ আসন

রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে প্রার্থী রয়েছেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক শাহ কামাল তাজ। এ আসনটি আজিজুল বারী হেলালকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

খুলনা-৫ আসন

ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা িনয়ে গঠিত আসনে একক প্রার্থী সাবেক সংসদ-সদস্য ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আজগর লবী। তিনিই সম্ভবত মনোনয়ন পাচ্ছেন। তাকে লড়তে হবে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে।

খুলনা-৬ আসন

কয়রা ও পাইকগাছা নিয়ে গঠিত আসনটিতে আগ্রহী প্রার্থীরা হলেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আব্দুল মজিদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম। আসনটিতে মনিরুজ্জামান মনটু মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সাতক্ষীরা-১ আসন

জেলার তালা ও কলারোয়া নিয়ে গঠিত এই আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাংবাদিক সাইদুর রহমান ও আরিফুজ্জামান মামুন মনোনয়ন েচয়েছেন। তবে আসনটিতে হাবিবুল ইসলাম হাবিব মনোনয়ন পাচ্ছেন।

সাতক্ষীরা-২ আসন

সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা নিয়ে গঠিত এই আসনে জেলা আহবায়ক রহমত উল্লাহ পলাশ, সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী, সাবেক সদস্য সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ (পদ স্থগিত), পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তাসকিন আহমেদ চিশতী মনোনয়ন যুদ্ধে আছে। তবে আসনটি আব্দুল আলিমকে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

সাতক্ষীরা-৩ আসন

আশাশুনি-কালিগঞ্জ নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ও আয়ুব হোসেন মুকুল মনোনয়ন দৌড়ে আছেন। এখানে সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিনের পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সাতক্ষীরা-৪ আসন

শ্যামনগর নিয়ে গঠিত এই আসনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মনিরুজ্জামান ও শ্যামনগরের সাবেক আহবায়ক মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ মনোনয়ন চেয়েছেন। এটি ড. মনিরুজ্জামান পেতে যাচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

বাগেরহাট-১ আসন

চিতলমারী, মোল্লাহাট ও বাগেরহাট উপজেলা গঠিত এই আসনে সাবেক এমপি শেখ মুজিবুর রহমান, জেলার সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলার আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মাসুদ রানা, রফিকুল ইসলাম জগলু মনোনয়ন দৌড়ে আছেন। এই আসনটি প্রবীণ বিএনপি নেতা আকরাম হোসেন তালিম পেতে যাচ্ছেন।

বাগেরহাট-২ আসন

ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা উপজেলা গঠিত এই আসনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান, আব্দুল হালিম খোকন ও লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম মনোনয়ন পেতে মাঠে আছেন। আসনটি শামীমুর রহমান শামীম পেতে পারেন বলে জানা গেছে।

বাগেরহাট-৩ আসন

কচুয়া, মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে গঠিত এই আসনে কেন্দ্রীয় নেতা ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, খান মনিরুল ইসলাম মনি, অ্যাডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা, ড. মনিরুজ্জামান, কাজী খায়রুজ্জামান শিপন মনোনয়ন যুদ্ধে মাঠে আছেন। এই আসনে শিক্ষক নেতা ঢাবির সাবেক অধ্যাপক বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ওবায়দুল ইসলাম পেতে পারেন বলে জানা গেছে।

নড়াইল-১ আসন

কালিয়া ও সদর উপজেলার আংশিক নিয়ে গঠিত এই আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, জিয়া পরিষদের উপদেষ্টা ডা. হায়দার পারভেজ, বিএনপি নেতা অধ্যাপক (অব.) নাগিব হোসেন, মো. সাজ্জাদুর রহমান সুজা, সাবেক এমপি ধীরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে সুরেশ সাহা আনন্দ। আসনটি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

নড়াইল-২ আসন

লোহাগড়া ও সদর উপজেলার আংশিক নিয়ে গঠিত এই আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম ও জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়া রিজভী জর্জ মনোনয়ন দৌড়ে আছেন। এই আসনটি নির্বাচনি সমঝোতার কারণে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে দেওয়া হতে পারে।

ঝিনাইদহ-১ আসন

এই আসনে সাবেক এমপি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল ওহাব ও কৃষকদদের জেলা সভাপতি উসমান গনি এবং কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জয়ন্ত কুমার কুন্ডু মনোনয়ন চেয়েছেন। আসনটিতে বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

ঝিনাইদহ-২ আসন

জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ও সদস্য অ্যাডভোকেট এসএম মশিউর রহমান, ড্যাব নেতা ডা. মো. ইব্রাহীম রহমান রুমি (বাবু), জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর রবিউল ইসলাম লাবলু, জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন। নির্বাচনি সমঝোতা হলে আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

ঝিনাইদহ-৩ আসন

আসনটিতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মহেশপুরের সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মমিনুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহতথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল ও কণ্ঠশিল্পী মনির খান মনোনয়ন চান। তবে এদের মধ্যে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কিন্তু এই আসনের একজন মনোনয়নপ্রত্যাশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার কাজল সাহেব আগে এলাকায় আসতেন না। গত পূজার পর থেকে আসা শুরু করেছেন। দীর্ঘ আন্দোলনের সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনা ও জামিনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেননি। সবার কাছ থেকেই ফি নিয়েছেন।’

ঝিনাইদহ-৪ আসন

আসনটিতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কালিগঞ্জের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম ও জেলা উপদেষ্টা মুর্শিদা জামান পপি মনোনয়ন চান। আসনটি সাইফুল ইসলাম ফিরোজ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কুষ্টিয়া-১ আসন

দৌলপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে দলের জেলা সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহবায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, দৌলতপুরের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজিব এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা সরব রয়েছেন। তবে আসনটি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা পেতে পারেন।

কুষ্টিয়া-২ আসন

ভেড়ামারা উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে সাবেক এমপি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা সাইফুল ইসলাম মনোনয়ন দৌড়ে আছেন। কিন্তু কার কাছে গ্রিন সিগন্যাল গিয়েছে সেটা জানা যায়নি।

কুষ্টিয়া-৩ আসন

সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ ও সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার মনোনয়ন চাইছেন। এই আসনেও কে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন, সেটা জানা যায়নি।

কুষ্টিয়া-৪ আসন

কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদি ও কুমারখালীর সভাপতি নুরুল ইসলাম আনসার মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। কিন্তু এই আসনের গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া প্রার্থীরও নাম জানা যায়নি।

মাগুরা-১ আসন

আসনটিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলি আহমেদ বিশ্বাস, সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব কিশোর, কেন্দ্রীয় সহত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলি মনোনয়ন দৌড়ে আছেন। এখানে আলী আহমেদ বিশ্বাস গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

মাগুরা-২ আসন

আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি নিতাই রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন মনোনয়ন চান। আসনটি নিতাই রায় চৌধুরী পেতে পারেন। তবে রবিউল ইসলাম নয়নের পক্ষেও তৃণমূলে জনমর্থন আছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসন

এই আসনটিতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসন

এই আসনটি মনোনয়ন পাচ্ছেন বিজিএমইএর সভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান।

মেহেরপুর-১ আসন

এই আসনের যারা গুলশানে ডাক পেয়েছিলেন তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। এর মধ্যে মাসুদ অরুনকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

মেহেরপুর-২ আসন

গুলশানের ডাকা হয়েছিল সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন ও জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে। আসনটি জাভেদ মাসুদকে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

খুলনা বিভাগের সবচেয়ে পুরোনো এবং গুরুত্বপূর্ণ যশোর জেলায় মোট ছয়টি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩৫ জন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন। তারা হলেন- যশোর-১ (শার্শা): মফিকুল হাসান তৃপ্তি, আবুল হাসান জহির, নুরুজ্জামান লিটন ও খায়রুজ্জামান মধু। যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা): সাবিরা নাজমুল মুন্নি, জহুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইসহক, মোর্তজা এলাহী টিপু, মিজানুর রহমান খান ও ইমরান সামাদ নিপুন। যশোর-৩ (সদর): অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন ও মারুফুল ইসলাম। যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর): ফারাজী মতিয়ার রহমান, টিএস আইয়ুব ও ব্যারিস্টার নূরে আলম সিদ্দিকী। যশোর-৫ (মনিরামপুর): অ্যাড. শহিদ ইকবাল হোসেন, আসাদুজ্জামান মিন্টু, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, শাহীন হোসেন, ইফতেখার সেলিম অগ্নি ও তাজউদ্দিন। যশোর-৬ (কেশবপুর): আবুল হোসেন আজাদ, রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ও অমলেন্দু দাস অপু।

এদের মধ্যে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন যারা

যশোর-১ আসন

শার্শা উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে সাবেক কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি। তিনি এই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আগেও নির্বাচন করেছেন। এবারও তারেক রহমান তাকেই প্রতীক দিচ্ছেন বলে জানা যায়।

যশোর-২ আসন

ঝিকরগাছা-চৌগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে ধানের শীষে লড়বেন সাবিরা নাজমুল মুন্নি। মনোনয়ন আলোচনায় তিনি এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা যায়।

যশোর-৩ আসন

সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এগিয়ে। তিনি আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীক পাচ্ছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

যশোর-৪ আসন

অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটিতে ধানের শীষ প্রতীক পাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব।

যশোর-৫ আসন

মণিরামপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে দলের উপজেলা কমিটির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন। তিনি মণিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান এবং মণিরামপুর পৌরসভার দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। আসছে নির্বাচনে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

যশোর-৬ আসন

কেশবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তাকেই দল বেছে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ঝিনাইদহ-৩ আসনের প্রার্থী সাবেক ছাত্র নেতা বিএনপির সহতথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল সারাবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৪ বছর এই দলের রাজনীতি করি। বিগত দিনে মামলা-হামলা নির্যাতনে এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। আসনটিতে জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। আমাকে মনোনয়ন দিলে আসনটি ধরে রাখতে পারব বলে আশা করি।’

এদিকে যারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ডাক পেয়েছিলেন তাদের অনেকেই বলেছেন, তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দলের মধ্যে অনৈক্য থাকলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে। দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো অনৈক্য দেখতে চান না তিনি। বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝিকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এমনকি বৈঠকে সবাইকে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলার অঙ্গীকার করিয়েছেন তারেক রহমান। দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী যদি দলীয় নির্দেশনা না মানে, তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ৩৫ আসনে আনুমানিক দেড় শতাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী গুলশান কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন। তার মধ্যে কাউকে এখন পর্যন্ত কোনো সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। খুব শিগগিরই দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করা হবে।’

সারাবাংলা/এমএমএইচ/পিটিএম
বিজ্ঞাপন

রোববার যৌথসভা ডেকেছে বিএনপি
১ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:৪৬

আরো

মো. মহসিন হোসেন - আরো পড়ুন
সম্পর্কিত খবর