Sunday 02 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লোকবলের স্বল্পতা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা: ডিএনসিসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩২ | আপডেট: ২ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৬

কোলাজ ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে লোকবলের স্বল্পতা একটি বড় বাধা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, এরপরেও সীমিত লোকবল নিয়ে মনিটরিং ব্যবস্থা বাড়ানোর ফলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

রোববার (২ নভেম্বর) গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সেমিনার রুমে আয়োজিত ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আমাদের কর্মীরা মাঠে ঘুরে ডেঙ্গুর ডেটা সংগ্রহ করছেন, যার ফলে গত চার মাসে অবস্থার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। শুধু কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয়, কারণ মশার বংশবৃদ্ধি হয় প্রায়শই ব্যক্তিগত বাড়ির ছাদ, কিচেনের নিচে বা দুটি বাড়ির মধ্যবর্তী স্থানে, যেখানে সরকারি কর্মীদের প্রবেশাধিকার নেই। তবে ডেঙ্গু সমস্যাটি আমাদের সঙ্গে সম্পর্কিত জটিল বিষয়, তাই একে অপরের প্রতি দোষারোপের সংস্কৃতি পরিহার করে ব্যক্তি পর্যায় থেকে সমন্বিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে এর সমাধান করা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার (মনিটরিং সিস্টেম) মাধ্যমে কর্মক্ষমতা বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কাজের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার মনিটরকারী নিয়োগ করা হয়েছে। তারা মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে এই কাজগুলো করেন। এই মনিটরিং ব্যবস্থা বাড়ানোর ফলেই কর্মক্ষমতার উন্নতি হয়েছে। আলোচনার ভিত্তিতে এই মনিটরিং বডিকে যুক্ত করা হয়েছিল, যার ফলে গত চার মাসের পরিস্থিতির তুলনায় অনেক উন্নতি হয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে মূলত সীমিত লোকবল এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে অফিস ব্যবস্থাপনা, পুরো কাজের জন্য অল্পসংখ্যক জনবল আছে। এই সীমিত লোকবল এবং যতটুকু সম্পদ আছে, তা দিয়ে কাজ করা অনেক কঠিন। তাই শুধু ডিএনসিসির একার পক্ষে পুরোপুরি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, এজন্য প্রতিটি নাগরিকের নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইউজে/এনজে