জবি: বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার (জবি) সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে নির্বাচন পিছিয়ে বিশেষ এক গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে ষড়যন্ত্র করছে নির্বাচন কমিশন।’
রোববার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারের কিছু সিদ্ধান্ত পক্ষপাতিত্ব মনে হচ্ছে। জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে একটি রোডম্যাপও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিশেষ একটি দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্বাচন পেছানোর পরিকল্পনা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার কিছু কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। এরমধ্যে প্রশাসনে রোডম্যাপ প্রকাশ হওয়ার পরেও নির্বাচন পিছানোর ষড়যন্ত্র, সব কাজ নতুনভাবে করার জন্য নতুন করে সময় চাওয়া। একটি গোষ্ঠীর সব কথা শোনা এবং অন্য দলগুলোকে অবমূল্যায়ন করা। এছাড়া, আজকের জরুরি মিটিংয়ে তাদের সার্বিক কাজের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে তারা নির্বাচন পেছানোর জন্যই আলোচনায় বসেছে।’
রিয়াজুল আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ১০ তারিখের পরে নির্বাচন নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন পেছালে জাতীয় নির্বাচনের দামামা শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থীদের ক্লাস, বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবসসহ শীতকালীন ছুটি শুরু হয়ে যাবে। এ অবস্থায় নির্বাচন সম্ভব হবে না। এ নির্বাচন কমিশন শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণ করে নির্বাচন না করার পায়তারা করছে।’
উল্লেখ্য, জকসু নির্বাচন কমিশন আজ সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রসংগঠন নিয়ে আলোচনা সভা করে। সভায় নির্বাচন পেছানোর প্রসঙ্গ আসলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে জবি শাখা শিবির।