ঢাকা: চলন বিলের সঙ্গে কৃষি, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের জীবন-জীবিকা গভীরভাবে জড়িত উল্লেখ করে পানিসম্পদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘চলন বিলের জন্য একটি কার্যকর পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু সহিষ্ণু ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণমূলক উদ্যোগ নিতে হবে। খাল খনন, রেগুলেটর পরিচালনা এবং জীবিকা উন্নয়নে যেন একে অপরকে সহায়তা করে এমন সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার।’
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পানি ভবনে অনুষ্ঠিত ‘চলন বিল পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ভূমি ও পানি সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মানের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা’ প্রকল্পের ইনসেপশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে হাওর ও জলবায়ু উন্নয়ন অধিদফতর।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘চলন বিল শুধু একটি জলাশয় নয়, এটি আমাদের অস্তিত্ব ও আবেগের অংশ। তাই চলন বিল সুরক্ষায় সঠিক ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ক্ষতিকর স্থাপনা চিহ্নিত করতে হবে, কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে এবং স্থানীয় জনগণের মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই চলন বিল তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন।
এছাড়া বক্তব্য দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. এনায়েত উল্ল্যাহ এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)-এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান।
প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন সিইজিআইএস-এর গবেষক তানভীর আহমেদ।