ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম সিনিয়র সাংবাদিক মোদাব্বের হোসেনকে কনুই দিয়ে ধাক্কা দিয়েছেন। আর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এপিএস কৃষিবিদ ইউনূস আলী মহাসচিবের গাড়ির সামনের সিটে বসছেন। আগেই পেছনের আসনে বসেছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তার সঙ্গে কথা বলছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলমসহ কয়েকজন সাংবাদিক নেতা। তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিএফইউজের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নীলফামারী-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সিনিয়র সাংবাদিক মোদাব্বের হোসেন।
এ সময় বিএনপি নেতা আবদুস সালাম তার কনুই দিয়ে মোদাব্বের হোসেনের বুকে সজোরে আঘাত করেন। চার সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি আজকে ভাইরাল হলেও ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে। এদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিয়ে গাড়িতে ওঠেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গেই ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম।
এই ভিডিও নিজ ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বর্তমান সভাপতি দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার চিফ রিপোর্টার আবু সালেহ আকন। তিনি ক্যাপশনে লেখেন, ‘গায়ের শক্তি অনেক বাইড়া গেছে, তাই না!!! না হলে একজন সিনিয়র সাংবাদিককে এভাবে মারে কেমনে? ধিক্কার জানানোর আর কোনো ভাষা খুঁজে পেলাম না।’
তার এই ভিডিওর নিচে দুই ঘণ্টায় দুই শতাধিক কমেন্ট পড়েছে। যার অধিকাংশ সাংবাদিকদের এবং প্রায় সবাই এ ঘটনার জন্য আবদুস সালামের বিচার দাবি করেছেন। কেউ কেউ ধিক্কার জানিয়েছেন।
ঢাকা মেইলের সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘সালাম ভাই আপনার সঙ্গে এটা যায় না… বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রেস ক্লাবে একজন সিনিয়র সদস্যকে আঘাত করেছেন কনুই দিয়ে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। হবে না কেন? একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ তো এমন আচরণ করতে পারেন না। তাও আরেকজন সিনিয়র সাংবাদিকের সঙ্গে। তার ঘনিষ্ঠ একজনকে বললাম বিষয়টি। পরে জানালেন- ওইদিন প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠান শেষে ওই ঘটনার পর সিনিয়র সাংবাদিকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু সালাম ভাই আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন না কাজটা কী করেছেন, এই ঘটনা আপনার ইমেজ কোথায় মিশিয়ে দিচ্ছে। নিজেকে সাংবাদিকবান্ধব মানুষ মনে করলে প্রেস ক্লাবে হোক, ইউনিয়ন অফিসে হোক, এসে সরাসরি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে যান। সেটা আপনার জন্য মঙ্গলজনক হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু কিছু দেখতে পাইনি। আমি মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলছিলাম। পরে ভিডিওতে দেখেছি। আবদুস সালাম ভাই এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
সাংবাদিক মোদাব্বের হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। আপনারা বলেন।’