আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত ও ১৫০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ চলছে এবং হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোরে মাজার-ই-শরিফের কাছে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটি খোলম নামের একটি এলাকার কাছাকাছি, ভূমির ২৮ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। খোলম শহরে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ বসবাস করে। মাজার-ই-শরিফে বাস করে প্রায় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার মানুষ।
ভূমিকম্পের পর অনেক মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাদের স্বয়ংক্রিয় সতর্কতা সিস্টেমে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এর মানে হলো ‘বড় ধরনের প্রাণহানি হতে পারে এবং দুর্যোগের প্রভাব ব্যাপক হতে পারে।’
এটি মাত্র দুই মাসের মধ্যে আফগানিস্তানে দ্বিতীয় বড় ভূমিকম্প। এর আগে, গত আগস্টে পূর্ব আফগানিস্তানে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। ভূমিকম্পে কাঁচামাটির তৈরি বাড়িঘরগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে হিন্দুকুশ পর্বতমালার কাছে অবস্থিত, যেখানে ইউরেশিয়ান ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল। ফলে দেশটিতে নিয়মিত ভূমিকম্প হয়।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৫৬০ মানুষ ভূমিকম্পে মারা যায় এবং প্রায় আট কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৫৫টি ভূমিকম্পে দেশটি কেঁপে উঠেছে, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৫.০ বা তার বেশি।