দখলদার ইসরায়েলের কাছে আরও তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
রোববার (২ নভেম্বর) রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা। এরপর রেডক্রসের সদস্যরা মৃত জিম্মিদের মরদেহ ইসরায়েলকে বুঝিয়ে দেয়।
হামাসের সশস্ত্র শাখা এর আগে জানায়, রোববার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
এখন পর্যন্ত যে ১৭টি মরদেহ তারা ফেরত দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে ১৫ জন ইসরায়েলি। আর বাকি দুজনের একজন থাইল্যান্ডের, আরেকজন নেপালের নাগরিক।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
ইসরায়েল দাবি করছে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরী করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। যা ১৩ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, সবার প্রথমে ২০ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। এখন ধীরে ধীরে মৃতদের মরদেহ ফেরত দিচ্ছে তারা।