ঢাকা: টেলকম খাতের নতুন গাইডলাইনের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ২০ শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছে দেশের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। সরকার দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা না করে বিদেশি কোম্পানিকে প্রধান্য দিচ্ছে। খরচ বাড়ায় ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ ‘ডিজিটালি শাটডাউন’ও হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে আইএসপিএবি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আমিনুল হাকিম এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া।
আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, নতুন টেলিকম নীতিমালার কারণে ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি পাবে ২০ শতাংশ। প্রকৃত বিচারে এটি আরও বেশিও হতে পারে। আর যারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের ক্রয় মূল্য বৃদ্ধি পাবে ১৪ শতাংশ। যেখানে ৫ থেকে ৬ শতাংশ ব্যবসা করতে কষ্ট হয়, সেখানে রেভিনিউ শেয়ার কিভাবে করব। তাহলে আমাদেরকে চ্যারিটি হাউজ হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।
তিনি বলেন, স্টারলিংকের অ্যকুইজেশন ফি ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ সাড়ে ১২ লাখ, সেটা আমাদের জন্যে ২৫ লাখ টাকা। বৈষম্যমূক্ত দেশে এই বৈষম্য হয় কিভাবে। টেলিকম অপারেটদের বেশি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কিনা! এটি অন্যায়। এটি অন্যয্য।
আইএসপিএবি সভাপতি বলেন, আমরা চাই, নির্বাচনের আগে টেলিকম সেক্টরে যাতে কোন অস্থিরতা না থাকে। কিন্তু সরকার যেভাবে এগুচ্ছে, নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ ডিজিটালি শাটডাউনও হয়ে যেতে পারে। আমি ডিরেক্টলি বলব না। আমি ডিরেক্টলি বলবোনা। তবে সরকারই সেই পথ তৈরি করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, যেভাবে খরচ বেড়েছে গ্রামের ব্যাবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। অর্থাৎ শাটডাউন করবে৷ আমার রেভিনিউ এর ৬.৫ শতাংশ যদি নিয়ে যায় আমরা ব্যবসা করব কি? সরকার আসলেই নিজেই ডিজিটালি শাটডাউনের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচিত সরকার আসতে আরও তিন মাস। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আগামী তিন মাসের মধ্যে গ্রাম গঞ্জের আইএসপি বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ জনগণ ও দেশীয় উদ্যোক্তারা ক্ষতির মুখে পড়বে। আমরা সকল রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবির সহ সভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব–১ মাহবুব আলম, যুগ্ম মহাসচিব–২ ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ। পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাশেদুর রহমান, মো. মিঠু হাওলাদার ও সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।