সিলেট: সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের জমে উঠেছে নির্বাচনী উত্তাপ। সারা দেশের মতো সিলেটেও বিএনপি ঘোষণা করেছে তাদের একক প্রার্থী তালিকা। জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও, সিলেট-৪ ও ৫ আসনে এখনো রহস্য জিইয়ে রেখেছে দলটি। ফলে কে হচ্ছেন শেষ মুহূর্তের চমক—তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
সারাদেশে মোট ২৩৭টি আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঘোষিত তালিকায় সিলেট বিভাগের ৬টি আসনের মধ্যে ৪টিতে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন খন্দকার মুক্তাদির আহমদ, যিনি পূর্বে এই আসনে দলের প্রার্থী ছিলেন এবং দলীয়ভাবে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। সিলেট-২ আসনে প্রার্থী হয়েছেন তাহসীনা রুশদী লুনা, প্রয়াত বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী।
সিলেট-৩ আসনে আব্দুল মালিক, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এবং সিলেট-৬ আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি।
তবে সিলেট-৪ ও ৫ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। এই দুটি আসন নিয়ে এখনো চলছে দলীয় সমন্বয় ও কৌশলগত আলোচনা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মতামত যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তীতে এ দুটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। সিলেট ৫ আসন শরীক দলকে ছেড়ে দেওয়ার জোর গুঞ্জন রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিলেট-৪ ও ৫ আসনেই বিএনপি রাখছে ‘চূড়ান্ত চমক’। কারণ, এই দুটি আসনে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার নাম ঘুরছে আলোচনায়, যারা হয়তো শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন পাবেন।
একইসঙ্গে, অন্যান্য দলের প্রার্থীদের প্রস্তুতিও সিলেটে তুঙ্গে। ফলে সিলেটের আসনগুলোকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক সমীকরণের নতুন হিসাব।