Tuesday 04 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সমস্যার পেছনে ছুটতেই বছর পার শাহাদাতের, সাফল্য-সমালোচনা আছে দু’টোই

রমেন দাশগুপ্ত স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০০ | আপডেট: ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:০৭

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জুলাই আন্দোলন পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আদালতের রায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পান বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। সমস্যার বোঝা মাথায় নিয়ে বসেন মেয়রের চেয়ারে। আর সেই সমস্যার পেছনে ছুটতেই একবছর পার হয়ে গেছে শাহাদাতের। এই একবছরে সাফল্য যেমন আছে, তেমনি সমালোচনায়ও বিদ্ধ হয়েছেন।

একবছরের বড় সময়টা মেয়র শাহাদাত দিয়েছেন জলাবদ্ধতা নিরসনের পেছনে। এতে অনেকখানি সাফল্য এসেছে, জলাবদ্ধতার প্রকোপ কমেছে। অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা, স্কুলশিক্ষার্থীদের জন্য ‘হেলথ কার্ড’ চালুর উদ্যোগ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়কে চসিকের নিয়ন্ত্রণে আনা, খেলার মাঠ, স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ আরও কিছু কর্মকাণ্ড নগরবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে নানা সীমাবদ্ধতা, মশার প্রকোপ কমাতে না পারা, বর্জ্য সংগ্রহ ও নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে দলীয়করণ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দ্বন্দ্ব, প্রকাশ্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বক্তব্য এবং কিছু পদোন্নতি নিয়ে সমালোচনায়ও পড়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এরপরও তুলনামূলক কম বয়সী শাহাদাত প্রাণশক্তি নিয়ে যে সমস্যা সমাধানের জন্য দৃশ্যমান দৌড়াচ্ছেন, সেটাই আশা জাগাচ্ছে নগরের নাগরিকদের মধ্যে।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠা এক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোটে বিজয়ী দেখিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়েছিল। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছিল ৫২ হাজার ৪৮৯। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে রেজাউল করিমসহ নয়জনকে বিবাদী করে মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন রেজাউল করিম চৌধুরী।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্তর্বর্তী সরকার ১৯ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম দায়িত্ব পান। এর মধ্যে ওই বছরের ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। ৮ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। ৩ নভেম্বর শপথ নিয়ে ৫ নভেম্বর থেকে তিনি মেয়রের দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

প্রায় দুই দশক ধরে চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সমস্যা হিসেবে ছিল বর্ষায় জলাবদ্ধতা। নগরীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা হাঁটু থেকে কোমরসমান, আবার নিচু এলাকাগুলো অনেকটা বুকসমান পানিতে ডুবে যেত। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চললেও সুফল পাওয়া যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় শাহাদাত হোসেন মেয়রের দায়িত্ব নিয়েই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মেয়রের অনুরোধে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জলাবদ্ধতা নিরসনের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য চার উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের টিম গঠন করে দেন। উপদেষ্টাদের মনিটরিং এবং খাল-নালা পরিষ্কার রাখতে মেয়রের প্রাণান্ত প্রচেষ্টার সুফল মিলে এবারের বর্ষায়।

জানতে চাইলে চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সিডিএ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে একাধিক সমন্বয় সভা করেছি। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছি। এজন্য এবারের বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা ৬০ থেকে ৬২ ভাগ সফল হয়েছি। আগামী বর্ষায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ আরও কমবে।’

তবে এর মধ্যেও জলমগ্ন নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ খালে পড়ে ছয় মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত এপ্রিলে। এ ঘটনার পর মেয়র সরাসরি অটোরিকশার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন।

চসিক সূত্র জানায়, মেয়র শাহাদাতের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে খেলার মাঠ তৈরির কাজ চলছে। এরই মধ্যে ১১টি ওয়ার্ডে একটি করে মাঠ খেলার উপযোগী করা হয়েছে। চসিকে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করা বিভিন্ন পদের হাজারখানেক কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণ নিয়ে জটিলতা জিইয়ে ছিল বছরের পর বছর ধরে। মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর ৬০০ কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করেছেন।

গত মে মাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্টুডেন্টস হেলথ কার্ড’ চালুর একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রথম দফায় পাঁচটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় এ কার্ড, যাতে তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাদান এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। পর্যায়ক্রমে সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হেলথ কার্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আছে মেয়রের।

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় একসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে ছিল। কিন্তু আইনের ফাঁক-ফোকরে সেটি সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছিল। মহিউদ্দিনপুত্র সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ছিলেন। মেয়র শাহাদাত দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটি আবার চসিকের কাছে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।

জানতে চাইলে মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিজস্ব সম্পদ। কিন্তু একটি গোষ্ঠী গত সাত-আট বছর আগে এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তাদের নামে করে নিয়েছিল। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই এটি করপোরেশনের আওতায় ফিরিয়ে আনতে আইনি লড়াইয়ের উদ্যোগ নিই। আর সেই আইনি লড়াইয়ে সিটি করপোরেশন জয়ী হয়েছে।’

এছাড়া গত এক বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন পদে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে শতাধিক লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। এসব নিয়োগ নিয়ে কোনো ধরনের অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠেনি।

তবে বছরজুড়েই মেয়র শাহাদাত হোসেন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের দ্বন্দ্ব অন্যতম আলোচনার বিষয় চসিকে। এ দ্বন্দ্বে চসিকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ থাকলেও দুই প্রধানের বিরোধে গত একবছরে এক টাকারও কাজ হয়নি। মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিরোধ এমন পর্যায়ে উঠেছে যে, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং চসিকের বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুইদফা সভা সমাবেশ করেছেন। তারা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের অপসারণ ও তাকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বিচার দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রেজাউল করিম চৌধুরী অনুপস্থিত থাকলেও সরকারের এডিপির প্রায় ১৭০০ কোটি টাকার কাজ চলমান ছিল। ডা. শাহাদাত হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর অবশিষ্ট ৮০০ কোটি টাকার কাজ শুরুর দায়িত্ব পড়ে তার ওপর। আর তখনই বিরোধ শুরু হয়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সরকারের একজন যুগ্ম সচিব। তিনি প্রেষণে এসে চসিকে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আমলাতান্ত্রিক নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফলে বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছে, গত ১ জুলাই কানাডা সফর শুরুর আগে ডা. শাহাদাত হোসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে প্রধান নির্বাহীকে প্রত্যাহার করতে বলেন। কিন্তু ওই চিঠি মন্ত্রণালয় আমলে নেয়নি। মেয়র কানাডা থেকে দেশে ফিরে গৃহকর মূল্যায়নের ৪২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পান। এ নিয়ে তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে শোকজও করেন।

এ বিষয়ে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তিনি (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) বিগত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করেছেন। রেজাউল করিম চৌধুরী দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। এ অভিযোগ থেকে তৌহিদ সাহেবও মুক্ত নন। আমি তাকে দুর্নীতির জবাব দিতে শোকজ করেছি। এখনো তিনি জবাব দেননি। উনার পরিবার ঢাকায় তাকে। তিনিও হরহামেশা ঢাকায় যান। তাকে দিয়ে চসিকের কাজ হচ্ছে না।’ এ বিষয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের বক্তব্য জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম নগরীকে ‘ক্লিন ও গ্রিন সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে এখনও নানা সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। এছাড়া পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজেও সমন্বয়হীনতা দৃশ্যমান আছে।

এ বিষয়ে মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘নগরীতে প্রতিদিন ২২০০ মেট্রিকটন বর্জ্যের মধ্যে আমরা ১৬০০ মেট্রিকটন বর্জ্য সংগ্রহ করি। বাকি ৮০০ মেট্রিকটন বর্জ্য নালা ও খালে গিয়ে পড়ে। এজন্য আমরা ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ চালু করেছি। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি কয়েকটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা বর্জ্য সংগ্রহের কাজ করছে। এজন্য দিনে দুই টাকা করে মসে ৬০ টাকা করে দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে বায়োগ্যাস উৎপাদন শুরু হলে আমরা টাকা দিয়ে নগরবাসী থেকে বর্জ্য কিনে নেব।’

‘আমরা বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। হালিশহর ও আরেফিন নগরে আমাদের যে দুটি ডাম্পিং স্টেশন রয়েছে, সেখানে জমাকৃত বর্জ্যগুলোকে আমরা গ্রিন ডিজেলে রূপান্তর করতে চাই। এজন্য জাপান, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা নগরীকে গ্রিন হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

গত এক বছরে মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের ভূমিকা আগের মেয়রদের সময়ের মতোই। এক্ষেত্রে নগরবাসীকে তেমন স্বস্ত্বি দিতে পারেননি মেয়র। জানতে চাইলে মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘এই নগরটা সবার। নগরের দেখভালের দায়িত্বও নগরবাসীর। ময়লা-আবর্জনাগুলো যততত্র না ফেলে নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। প্লাস্টিক, পলিথিন ও ডাবের খোসার কারণে মশার উপদ্রব আর এতে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়াসহ নানাবিধ রোগ হচ্ছে। আমি নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি।’

এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’ অভিযোগ আনেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। প্রকাশ্য সভায় মেয়র বলেন, ‘স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা প্রকল্পের ফাইল দেখলে সেটা মন্ত্রণালয়ে থেকে বাসায় নিয়ে যান এবং এরপর সেটা আর ফেরত আসে না, এভাবে মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল গায়েব হয়ে যায়। আর এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মেয়রের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।’

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম
বিজ্ঞাপন

আরো

রমেন দাশগুপ্ত - আরো পড়ুন
সম্পর্কিত খবর