ঢাকা: দেশের ডেনিম শিল্পের বিকাশে দুদিন ব্যাপী সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’র ১৯তম আসর বসছে বুধবার (৫ নভেম্বর)। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই এক্সপো শেষ হবে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর)।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুদিনের এই এক্সপোতে ডেনিম উৎপাদনের সর্বশেষ উদ্ভাবন, টেকসই প্রযুক্তি এবং বৈচিত্র্যময় পণ্যের প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও বৈশ্বিক ডেনিম বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরা হবে। এ প্রদর্শনীতে বিশ্বব্যাপী ডেনিম শিল্পের নেতা, উদ্ভাবক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন একত্রিত হবেন— ডেনিম উৎপাদন, টেকসইতা এবং প্রযুক্তির পরিবর্তনশীল দিক নিয়ে আলোচনার জন্য।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর এবারের আসরে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে মোট ৪৫টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এরা মূলত, ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।
দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে তিনটি প্যানেল আলোচনা এবং দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে, যা বাংলাদেশের ডেনিম শিল্পের মূল দিকগুলো এবং বৈশ্বিক পরিসরে এর ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব তুলে ধরবে।
এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) বেবি রানি কর্মকার ‘ডেনিম রাইজিং: বাংলাদেশস জার্নি টু গ্লোবাল লিডারশিপ’ শীর্ষক আলোচনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে এক্সপোতে অংশ নেবেন। ইপিবিতে তিনি বাণিজ্য সহায়তা, রফতানি উন্নয়ন, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং টেকসই বাণিজ্য চর্চা সম্প্রসারণের দায়িত্বে রয়েছেন।
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘ পথচলায় বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো তার উদ্ভাবনী ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রস্তুতকারক, ব্র্যান্ড এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। এটি আর শুধুমাত্র একটি প্রদর্শনী নয়— এখন এটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি প্ল্যাটফর্মে রূপ নিয়েছে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ডেনিম প্রস্তুতকারক ও ক্রেতারা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হন। এর ফলে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তির এক অনন্য সমন্বয় সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা করছে।’
মোস্তাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা এক্সপোকে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছি, যেখানে টেকসইতা, বৈচিত্র্যময় ডিজাইন এবং বৈশ্বিক শিল্পের পরিবর্তনশীল রূপ একসঙ্গে প্রতিফলিত হয়। এ বছর এক্সপোতে থাকবে আরও বেশি নতুনত্ব, এবং দর্শনার্থীরা বৈশ্বিক ডেনিম শিল্পে ঘটে চলা সর্বশেষ উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে এটি আরও কার্যকর ও সহায়ক বলে মনে করবেন।’