কুমিল্লা: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রামমালা গ্রন্থাগার আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অমূল্য ভাণ্ডার। এখানে সংরক্ষিত পাণ্ডুলিপি ও বইগুলো জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্যের দলিল। এগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা জরুরি। প্রত্যকেটা কপি স্ক্যান করে রাখা দরকার। আমি বিষয়টি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে অবহিত করব, যাতে দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা ঈশ্বর পাঠশালা প্রাঙ্গণে অবস্থিত রামমালা গ্রন্থাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ‘রামমালা গ্রন্থাগারের সঙ্গে যুক্ত ছোট মিউজিয়ামেও রয়েছে বহু পুরাতন মুদ্রা, শিল্পকর্ম ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। এসব সম্পদ রক্ষায় আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা দরকার।’
এর আগে তিনি কুমিল্লার জাগুরঝুলি এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার রামমালা গ্রন্থাগার ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে এটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক সম্পদভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি পাণ্ডুলিপি ও দুষ্প্রাপ্য বই সংরক্ষিত আছে, যেগুলোর অনেকগুলোই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করছে।
তথ্য উপদেষ্টার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় সংস্কৃতি অনুরাগী ও গবেষকরা। তাদের মতে, রামমালা গ্রন্থাগার ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।