ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ‘আমরা (এনসিপি) লম্বা সংগ্রাম করে নিবন্ধন অর্জন করেছি। আমাদের নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য যা যা করা হয়েছিল, তার সবকিছুর বিরুদ্ধে এবং আমাদের প্রতীক ইস্যু নিয়েও যা যা করেছে ইসি, তার বিরুদ্ধে আমাদের যৌক্তিক, আইনি ও নৈতিক দাবির মুখে ইলেকশন কমিশনের পরাজয় ঘটেছে। এনসিপির এই জয় শুধু একটি রাজনৈতিক সাফল্য নয়, বরং একটি নৈতিক বিজয়ও।’
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সারোয়ার তুষার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস বারবার বিভাজনমূলক রাজনীতির শিকার হয়েছে, যা আজও সরকারি ছুটি ও স্মরণ দিবসের ভিন্নতায় প্রতিফলিত। আমরা জাতীয় ইতিহাসের দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন দিবস ও ঘটনার স্মরণ আয়োজন করছি, কারণ আমাদের লক্ষ্য বিভাজন নয় ঐক্য।’
তিনি অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছিলেন, যা সেনাবাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা, আমলা ও তার নিজের দলের ভেতরেও ছড়িয়ে পড়ে। কেনো একটি নির্দিষ্ট ঘোষণাপত্রে একটি গণঅভ্যুত্থানকে কেবল গণআন্দোলন বলা হয়? এটি ইতিহাসের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি।
সারোয়ার তুষার বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত সরকারের বর্তমান নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের দুর্বলতা আজ দৃশ্যমান। তিনি সরাসরি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘যদি তিনি পুরনো শাসনামলের কিছু প্রভাবশালী উপদেষ্টার নির্দেশে চলেন, তবে তাঁর প্রধান নির্বাহী থাকার কোনো অর্থ থাকে না।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ‘এই সরকার গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেটের ওপর প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু কিছু বিভ্রান্ত উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে ভুল পথে চালিত করছেন। সরকারকে এখন নিজের কর্তৃত্ব ও সীমাবদ্ধতা বুঝতে হবে। যারা গণঅভ্যুত্থানের দায় উলটে দিতে চায়, তারা জনগণের দ্বারা প্রতিহত হবে।’
এনসিপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে সারোয়ার বলেন, দলটি বহুদলীয় গণতন্ত্রের পক্ষে এবং কখনো অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে না। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বললেও, ছোট দলগুলোকে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করতে উৎসাহিত করে যা প্রকৃত বহুদলীয় ব্যবস্থার পরিপন্থি।