Wednesday 05 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রবাসীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি জামায়াতে ইসলামী’র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০১ | আপডেট: ৫ নভেম্বর ২০২৫ ২০:০০

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

ঢাকা: পোস্টাল ব্যালটে ভোটিংয়ের জন্য বেশি ‘ডকুমেন্ট’ না দিয়ে সহজভাবে প্রবাসীদের নিবন্ধন সহজ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। পাশাপাশি ভোটে বিদ্যমান স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর মতো সশস্ত্রবাহিনীর ভূমিকা চায় জামায়াত।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে জামায়াতের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

এ সময় প্রবাসীদের ভোট দেওয়া নিয়ে ‘কনফিউশন’ রয়েছে জানিয়ে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘কনফিউশন হচ্ছে, আমিরে জামায়াত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক ভিজিট করেছেন; ওমরাহ করেছেন-সবখানে প্রবাসীদের উদ্বেগ করেছে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে। সে বিষয়ে ইসির নজরে আনতে আমরা ফরমালি এসেছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘পোস্টাল ভোটিং অ্যাপে নিবন্ধনের শর্ত পানির বিল, বিদ্যুতের বিলসহ নানা জটিলতাগুলো যেন বাদ দেওয়া হয়। কমিশন নিশ্চিত করছে, এটা এনসিউর করবেন। জন্ম নিবন্ধন লাগবে, এনআইডি কার্ড আর ঠিকানার বিষয়ে জোর দিচ্ছে। এতে প্রবাসীদের নিবন্ধন করায় সহজ হবে।’

জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, ‘১৬ নভেম্বর নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধনের কথা রয়েছে। অ্যাপসের মাধ্যমে যে রেজিস্ট্রশন হবে তা এক্সপেরিমেন্টাল চালু করেছে ইসি। ওখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, এটা পরীক্ষামূলক হয়েছে। এ কনসার্ন আমরা যাচাই করতে এসেছি আসলে কি ঘটেছে।’

ইসির সঙ্গে বৈঠকে সংশয় কিছুটা কেটেছে বলে তিনি জানান, ১৮ নভেম্বর থেকে অঞ্চলভিত্তিক টাইম শিডিউল দিলে তারা প্রবাসীরা অ্যাপসে গিয়ে নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধন করবেন। অনেকে মনে করেছে, ভোটার হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন। পোস্টাল ভোটের জন্য রেজিস্ট্রেশন। অনেকে করেছে দুটো এক। কমিশন জানিয়েছেন দুটি ভিন্ন বিষয়। ভোটার রেজিস্ট্রশন চলমান। পোস্টাল ভোটিং সুনির্দিষ্টট টাইম ১৮ নভেম্বর শুরু হয়ে নির্ধারিত সময়ে বন্ধ হয়ে যাবে।

এ সময় আরপিও সংশোধন নিয়ে বলেন, ‘তারা এ বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী থাকলেও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে যেভাবে তারা (ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারসহ) স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রয়েছে সেভাবে ভোট দেখতে চায় জামায়াত।’

সাংবাদিকদের আরেক জবাবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয় এমন কিছু হলে যেন কঠোরভাবে দমন করে সরকার-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী এখন যেভাবে স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে, এটাও কাযকর থাকবে। আর ভোটে আইন শৃঙ্খলার কাজও করবে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর