হিলি: ভারত থেকে আমদানি বন্ধ ও বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমার অজুহাতে দিনাজপুরের হিলি বন্দরের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মাত্র তিন-চার দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ২০-২৫ টাকা বেড়ে প্রায় সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেছে। মোকামে দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ কম থাকায় খুচরা বাজারে এই প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৫ নভেম্বর) হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায় তিন-চার দিন আগেও যে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা আজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা বকুল হোসেন বলেন, ‘দুই-তিন দিন আগেও ৬৫-৭০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি। আজ এসে দেখি ৯০-৯৫ টাকা চাচ্ছে দোকানদার। প্রতিদিনই নতুন দাম শুনতে হয়, এতে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনদিনের ব্যবধানেই ২০-২৫ টাকা বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি।’
রিকশাচালক ইমদাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো কিছুর নিয়ম নেই। খেয়াল খুশিমত জিনিসের দাম বাড়ে। আমরা গরিব মানুষ, বাজারে এলেই মাথা ঘুরে যায়। কয়েকদিন আগেও ৬০-৬৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছিলাম, আজ তা ৯০-৯৫ টাকা কেজি। আবার ছোট পেঁয়াজ কেউ কেউ ১০০ টাকাও চাচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে আমরা কীভাবে বাঁচবো।’
খুচরা ব্যবসায়ী মঈনুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে মোকামে পাইকারি দাম বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে কিনে এনে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আজ শুনলাম মোকামে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা, খরচসহ আগামীকাল দেখা যাবে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হবে। দাম বেশি থাকায় বিক্রিও কমে গেছে।’
এদিকে হিলি বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, দেশের যেসব মোকামে পেঁয়াজ আসে, সেখানেই এখন সরবরাহ কম। ভারত থেকেও আমদানি অনেক কমে গেছে। এই ঘাটতির কারণে দাম বাড়ছে। নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম কমে আসবে। আর সরকার যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়, তাহলে দ্রুতই বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
বাজার কমিটির সদস্যরাও বলছেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ মোকামগুলোতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় এই অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।