কসবা (ব্রাহ্মনবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের বিএনপির মনোনিত প্রার্থী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা এবং সাবেক এমপি আলহাজ্ব মুশফিকুর রহমান বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে। এটাই তো গণতন্ত্র। তারা কথা বলার সুযোগ পেয়েছে, কথা বলুক। তারা যেটা বলে জনগণ যদি সেটা গ্রহন করে তাহলে তাই হবে। বিএনপি গণভোটের বিরুদ্ধে নয়। বিএনপিও গণভোট চায়। কিন্তু, সেটা একই দিনে (সংসদ নির্বাচনের দিন)। গণভোট হলে আমরা জনগণের কাছে যাবো। জনগন যা চায় তাই হবে।’
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরাশরীফ গ্রামে মাওঃ আব্দুল খালেক (র.) মাজার শরীফ ও মা-বাবার কবর জিয়ারত শেষে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরন ও গণসংযোগকালে জামাতে ইসলামীর গণভোটের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গণভোট না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে যে সাড়া দেখছি। তাতে নির্বাচন করতে কোন অসুবিধা হবে না।’
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা রয়েছে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ষড়যন্ত্র হতে পারে। বানচাল করার চেষ্টা হতে পারে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। জনগণ যা চায় তাই হবে।’
বিএনপি প্রার্থী মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ভোটের জন্য বিএনপি ১৭ বছর আন্দোলন করেছে। ভোটই আমাদের অধিকার। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পিটিয়ে লন্ডনে নির্বাসিত করে। ১/১১-তে বেগম জিয়াকে সৌদি আরব পাঠাতে বিমান প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তিনি দেশ ছাড়েননি। কিন্তু তাকে যে দেশ ছাড়া করতে চেয়েছিল সেই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেছে। এটাই আল্লাহর বিচার।’

ছতুরাশরীফ গ্রামে মাওঃ আব্দুল খালেক (র.) মাজার শরীফ ও মা-বাবার কবর জিয়ারত করছেন আলহাজ্ব মুশফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে সকালে ভাটামাথা গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে উঠান বৈঠক করেন বিএনপির প্রার্থী মুশফিকুর রহমান। উঠান বেঠক শেষে তন্তর বাজারে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন তিনি।
গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি.মুসলিম উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন হাজারী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. নাজমুল হুদা খন্দকার, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, কসবা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী আশরাফ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বেলায়েত হোসেন হেলাল, অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ, আখাউড়া পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন, বিএনপি নেতা মো. মন্তাজ মিয়া, শফিকুল আলম তুরান, ইয়ার হোসেন শামীম প্রমুখ।