Thursday 06 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জয়দেবপুর রেলক্রসিং দখলমুক্ত করতে অভিযান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:০৮ | আপডেট: ৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৬

অভিযানেন সময় পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ছবি: সারাবাংলা

গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরের ব্যস্ততম এলাকা জয়দেবপুর রেলক্রসিং এলাকা দীর্ঘদিনের দখল, বিশৃঙ্খলা ও যানজট থেকে মুক্ত করতে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও রেলওয়ের সম্মিলিত উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে শতাধিক অবৈধ দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা ও হকারদের দখল উচ্ছেদ করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিয়া তাসনিম, জয়দেবপুর রেল জংশনের স্টেশন মাস্টার মাহমুদুল হাসান এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা ইমরান হোসেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় মেট্রোপলিটন পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল হাসান বলেন, ‘জয়দেবপুর রেলক্রসিং হলো গাজীপুরের প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন লাখো মানুষ এই রেলক্রসিং দিয়ে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিনের দখল ও বিশৃঙ্খলা নগর জীবনে যে অসহনীয় দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, তা দূর করতেই আমরা এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আজকের উচ্ছেদ শুধু অভিযান নয়, এটি একটি নতুন দিনের সূচনা—যেখানে প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, রেলওয়ে ও নাগরিক সমাজ একসঙ্গে কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা এরইমধ্যে ‘জয়দেবপুর মোবিলিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ হাতে নিয়েছি। এর আওতায় ফ্লাইওভার নির্মাণ, বিকল্প রাস্তা সম্প্রসারণ, ট্রাফিক সিগন্যাল অটোমেশন ও ফুটপাত সংস্কারের কাজ করা হবে। গাজীপুরকে একটি দখলমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ও স্মার্ট নগর হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’’

অভিযানের পর জীবিকার দাবি তোলেন ভাসমান ফল ব্যবসায়ী ও হকাররা। তারা বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর এই জায়গায় ব্যবসা করে সংসার চালাতাম। এখন দোকান ভাঙার পর জীবিকার চিন্তা করছি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, আমাদের জন্য কোনো স্থায়ী জায়গা বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।’

এই প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল হাসান বলেন, ‘আমরা নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে যেমন অবৈধ দখল উচ্ছেদ করছি, তেমনি ভাসমান ব্যবসায়ীদের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আইনানুগভাবে তাদের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে তারা সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবসা চালাতে পারেন এবং শহরের সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ থাকে।’