ঢাকা: চট্টগ্রামে নির্বাচনি প্রচারকে ঘিরে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনাকে বিএনপি সহজভাবে নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে ঢাকা ফোরাম ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘তারেক রহমান: পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া যাবে না। সরকারের উচিত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা।’
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের জন্য যারা এখন কথা বলছেন, তাদের জানা উচিত— শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই বেগম খালেদা জিয়া সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পরে তারেক রহমান বিএনপির পক্ষ থেকে ২৭ দফা, পরে ৩১ দফা প্রস্তাব দেন। এর লক্ষ্য দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নেওয়া এবং জাতীয় সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা।’
দেশের পররাষ্ট্রনীতির দিকনির্দেশনা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি চারটি মূল ভিত্তিতে বিদেশনীতি গড়ে তুলবে— পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক স্বার্থ, ভূরাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা এবং অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে এবং প্রথম দিন থেকেই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে।’
তারেক রহমানকে ‘গণতন্ত্রের বাতিঘর’ উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি। খালেদা জিয়ার মতোই তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যখন অন্য দলগুলো সংস্কারের সাহস পাচ্ছে না, বিএনপি তখন জনগণের সামনে ৩১ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলে এলাহি। উপস্থিত ছিলেন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম কামরুল আহসান ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য দিল রওশন জিন্নাত।