বগুড়া: জেলার কাহালুতে পারিবারিক বিরোধের জেরে সৎ ছেলের হাসুয়ার আঘাতে বাবা মিলন ওরফে টাইগার মিলন (৩০) নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার পালপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন ওই এলাকার মো. আমজাদ আলীর ছেলে।
ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ মিলনের স্ত্রী মেঘনা বেগমকে এবং তার ছেলে শামীম হোসেনকে (২১) গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, টাইগার মিলন গত ৮ থেকে ৯ বছর আগে কাহালু পৌর এলাকার জামতলা গ্রামের চার সন্তানের জননী নাজুর স্ত্রী মেঘনা বেগমকে (৩৫) বিয়ে করে পশু হাসপাতালের পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু মেঘনা বেগমের প্রথম স্বামী নাজুর ছেলে শামীম হোসেন কোনোভাবেই তার সৎ পিতা মিলনকে মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে মিলনের সঙ্গে শামীমের বিবাদ লেগেই থাকত। এক পর্যায়ে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে সৎ ছেলে শামীম হোসেন হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে সৎ বাবা টাইগার মিলনকে কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করে। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় মিলনকে বগুড়া শহিদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিলন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
মিলন মারা যাবার পরপরই কাহালু থানা পুলিশ তার স্ত্রী মেঘনা বেগমকে এবং ছেলে শামীম হোসেন গ্রেফতার করে।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার জানান, গ্রেফতার শামীমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ উদঘাটন করা হবে।
তিনি জানান, নিহত মিলন একাধিক মামলার আসামি ছিলেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে তিনি বগুড়া জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।