জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ফলে আগামী সপ্তাহে তার হোয়াইট হাউজ সফরে আর কোনো বাধা থাকছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিদ্রোহী যোদ্ধারা বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আহমেদ আল-শারা সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর মধ্য দিয়েই দেশটির ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ মন্তব্য করেন, এই ভোট জাতিসংঘের পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা, সিরিয়ায় আসাদের শাসনের অবসান ঘটেছে এবং দেশটি এখন এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।
শারা মূলত জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন। কারণ তিনি ইসলামপন্থী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামর (এইচটিএস) নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে শারা ২০১৬ সালে সংগঠনটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র গত জুলাইয়ে এইচটিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়। একইসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।
এই সিদ্ধান্তের পর আগামী সোমবার আহমেদ আল-শারা হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ট্রাম্প এর আগে শারাকে ‘দৃঢ়চেতা নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। ট্রাম্প জানান, তিনি সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন।
উল্লেখ্য, এই সফর হবে এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে শারার দ্বিতীয় সফর; এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রায় ছয় দশক পর প্রথম সিরীয় নেতা হিসেবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছিলেন।