শাটডাউন অব্যাহত থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে আগামী কয়েক দিনে বিমান চলাচল ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হবে। ফলে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি। এই সিদ্ধান্ত শুধু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) প্রধান জানান, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারীরা অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ক্লান্তির কথা জানানোয় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রায় ১৪ লাখ ফেডারেল কর্মী; যাদের মধ্যে বিমান নিয়ন্ত্রণকারী থেকে শুরু করে পার্ক রেঞ্জার পর্যন্ত রয়েছেন, বেতন ছাড়াই কাজ করছেন অথবা বাধ্যতামূলক ছুটিতে রয়েছেন। কারণ মার্কিন কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদন করেনি।
আটলান্টা, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসির প্রধান বিমানবন্দরগুলো এই সেবার হ্রাসে প্রভাবিত হবে।
ডাফি বলেন, ‘আমাদের প্রধান কাজ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটি রাজনীতির বিষয় নয়—এটি তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা। কারণ নিয়ন্ত্রণকারীরা এখনো বেতন ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছেন।’
ইউনিয়নগুলো বলছে, অনেক কর্মী মানসিক চাপের কারণে অসুস্থতায় ভুগছে বা দ্বিতীয় চাকরি নিতে বাধ্য হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শাটডাউন চলছে, যার ফলে বাজেট সংকটে সরকারি কাজকর্মে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক সরকারি সংস্থা কংগ্রেস থেকে অনুমোদিত বার্ষিক তহবিলের ওপর নির্ভর করে। প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন এই সংস্থাগুলো তাদের অনুরোধ জমা দেয়, যা কংগ্রেসকে পাস করতে হয় এবং প্রেসিডেন্টকে পরবর্তী অর্থবছরের জন্য বাজেট আইনে সই করতে হয়।
পহেলা অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার আগে যদি কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো না যায়, তাহলে শাটডাউন তৈরি হয়। এর ফলে অপ্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, অনেক জরুরি সেবাও বিঘ্নিত হয়।
এবার রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের মতবিরোধের কারণে শেষ পর্যন্ত শাটডাউন এড়ানো সম্ভব হয়নি।