ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে তিনটি অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতভর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়া ৪৫টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৪৫০টিরও বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।
এই হামলায় ডিনিপ্রো শহরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ড্রোন আঘাত হানলে দুইজন নিহত এবং ১২ জন আহত হন। আর খারকিভ অঞ্চলে আরও একজন নিহত হন বলে আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিডেঙ্কো নিশ্চিত করেছেন, কিয়েভ, পোলতাভা এবং খারকিভ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সুবিধাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ সংস্থা ‘সেন্ট্রেনারগো’ জানিয়েছে, এটি যুদ্ধ শুরুর পর তাদের স্থাপনাগুলিতে সবচেয়ে বড় আক্রমণ, যার ফলে তারা কিয়েভ এবং খারকিভ অঞ্চলের প্ল্যান্টগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে এবং তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন এখন ‘শূন্য’।
জেলেনস্কি এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার সমস্ত শক্তির ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন। রাশিয়া শীতের আগে সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে আঘাত হানছে।
প্রায় চার বছর আগে আক্রমণ শুরুর পর থেকে রাশিয়া নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ খাতে আক্রমণ করে আসছে। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কিয়েভের হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা অস্ত্র উৎপাদন এবং জ্বালানি সুবিধাগুলিতে ‘উচ্চ-নির্ভুল দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে ব্যাপক হামলা’ চালিয়েছে।
ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা ৪০৬টি রুশ ড্রোন ও ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করলেও, ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫২টি ড্রোন ২৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। স্ভিরিডেঙ্কো বলেছেন যে সরকার এবং বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ, পানি ও উত্তাপ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করার জন্য কাজ করছে এবং পোলতাভা অঞ্চলে দুটি শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর জেনারেটর ব্যবহার করে পানি সরবরাহ করছে।