ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করলেও স্থানীয়ভাবে প্রায় ৩০০ আসনেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করে তাদের নাম প্রকাশ করেছে।
দলের নেতারা বলছেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করা হবে। যেহেতু তারা এবার এককভাবে নির্বাচন করবে না। ইতোমধ্যে আটটি দলের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা করেই ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেবে জামায়াত। তবে ঘোষিত প্রার্থী তালিকা বিশ্লেষন করে দেখা গেছে এবার জামায়াতের অন্তত ১৫ জন চিকিৎসক মনোনয়ন পেয়েছেন। এর মধ্যে দলটির আমি ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের দুজনই চিকিৎসক। তারা দুজন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা-১৫ আসনে ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে।
এ ছাড়াও সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) বিভিন্ন পর্যায়ের ১৩ জন চিকিৎসক। তারা হলেন—অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর), অধ্যাপক ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল), অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর রাজশাহী সদর-২ (সদর), ডা. সুলতান আহমেদ বরগুনা ২ (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী), ডা. এসএম খালিদুজ্জামান (ঢাকা-১৭), ডা. এ টি এম রেজাউল করিম চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া), ডা. একেএম ফজলুল হক চট্টগ্রাম-৯ (চান্দগাঁও, ডবলমুরিং), ডা. আবু বকর সিদ্দিক মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়), ডা. ফরিদুল আলম চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), ডা. শাহাদাৎ হোসেন চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক), ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা), ডা. মুহাম্মদ আবু নাছের চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, আংশিক পাচঁলাইশ) ও ডা. ফখরুদ্দিন মানিক ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী)।
ডা. শফিকুর রহমান
এনডিএফ অফিস সম্পাদকের জামায়াতের তথ্যানুসারে, মিরপুর-১৫ আসনে লড়বেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি ১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম মোহাম্মদ আবরু মিয়া এবং মা মরহুমা খাতিরুন নেছা। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।
শফিকুর রহমান ১৯৭৪ সালে স্থানীয় বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সিলেট এমসি কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ভর্তি হন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে (সিওমেক)। সেখান থেকে ১৯৮৩ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করার পর চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন।
জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন ডা. শফিকুর রহমান। ১৯৭৩ সালে জাসদ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগদান করেন। পরবর্তীতে সিওমেক ছাত্রশিবিরের সভাপতি এবং সিলেট শহর শাখার সভাপতির দয়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৪ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন ডা. শফিকুর রহমান। এরপর সিলেট শহর, জেলা ও মহানগরী আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হয়ে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর রুকনদের (সদস্য) প্রত্যক্ষ ভোটে আমির নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ২০২০-২০২২ কার্যকালের জন্য জামায়াতের আমির হিসেবে প্রখমবারের মতো শপথ গ্রহণ করেন। ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর রুকনদের (সদস্য) প্রত্যক্ষ ভোটে দ্বিতীয় বারের মতো আমির নির্বাচিত হন এবং ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর ২০২৩-২০২৫ কার্যকালের জন্য তিনি আমির হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ গ্রহণ করেন। ২০২৫ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো সদস্যদের ভোটে আমির নির্বাচিত হয়েছেন।
ডা. শফিকুর রহমান ১৯৮৫ সালে ডা. আমিনা বেগমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ডা. আমিনা বেগম অষ্টম জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। বড় মেয়ে এফসিপিএস (কার্ডিওলোজি) অধ্যয়নরত কর্মরত। ছোট মেয়ে এমবিবিএস ও এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জনের পর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। একমাত্র ছেলে এমবিবিএস শেষ করে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন।
ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের জন্ম ১৯৫৮ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সৈয়দ পরিবারে। বাবা মাওলানা সৈয়দ মাজহারুল হক হায়দারি ছিলেন একজন ইসলামী ধর্মীয় প্রচারক, বক্তা ও পণ্ডিত। মা আকসির-ই-জাহান চৌধুরানী, চট্টগ্রামের ‘কাশগর’ মুসলিম জমিদার পরিবারের সদস্য। ডা. তাহেরের পাঁচ ভাই ও তিন বোন।
তিনি ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন এবং প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের পঞ্চম শ্রেণী ও অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে সরকারি বৃত্তি লাভ করেন। বৃহত্তর কুমিল্লা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন।
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. হাবিবা আক্তার চৌধুরীর (এমবিবিএস, এম-ফিল) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। যিনি ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমাজিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ দম্পতির তিন মেয়ে এবং একটি ছেলে আছে।
ডা. তাহের কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। যোগদানের দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সদস্য হন। পরবর্তীতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন এবং ১৯৮৫-৮৬ এবং ১৯৮৬-৮৭ সেশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
আবদুল্লাহ তাহের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শাখা সভাপতি ও ঢাকা শহর শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢামেকে অধ্যয়নের সময় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র কেন্দ্রীয় ইউনিয়নের (ঢামেকসু) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে জামায়াতের প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। তিনি বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য।
অধ্যাপক ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান। তিনি ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের অন্যতম পরিচালক। এর আগে তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হৃদরোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। ডা. জেহাদ খান কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ এলাকার সন্তান।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর
রাজশাহী সদর-২ (সদর) আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মনোয়ন পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডা. সুলতান আহমেদ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা ২ (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী) আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন ডা. সুলতান আহমেদ। তিনি আল মানার হাসপাতাল লিমিটিডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।
ডা. একেএম ফজলুল হক
এনডিএফ অফিস সম্পাদকের তথ্যানুসারে, ডা. একেএম ফজলুল হক চট্টগ্রাম-৯ (চান্দগাঁও, ডবলমুরিং) আসনে জামায়াতের মনোয়ন পেয়েছেন।
চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, উদোক্তা, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হিসেবে সুনাম কুড়ানো ডা. ফজলুল হক চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডা. আবু বকর সিদ্দিক
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে (ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়) জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. আবু বকর সিদ্দিক। তিনি ইউরো বাংলা হার্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।
ডা. ফরিদুল আলম
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে লড়বেন ডা. ফরিদুল আলম। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ
যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ। এনডিএফ সূত্র জানিয়েছে, প্রতিথযশা শিশু হৃদরোগ ও ইনটেনসিভ কেয়ার (আইসিইউ) বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদ যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম শরীফ হোসেনের ছেলে।
তার জন্ম ১৯৬১ সালে যশোরের খড়কি ঐতিহ্যবাহী পীর বাড়িতে। তিনি ১৯৭৭ সালে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৯ সালে একই ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের উত্তীর্ণ হন।
পরে ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিলেন। সেখান থেকে এমবিবিএস পাস করে যোগ দেন ঢাকার পিজি হাসপাতালে। সেখানে দুই বছর চিকিৎসক হিসেবে কাজ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে এমআরসিপিসিএইচ, এফআরসিপিসিএইচ এবং ডিসিএইচ ডিগ্রি নেন।
ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ সেখানে ইউনিভার্সিটি হসপিটালস বার্মিংহামে কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইউরোপ-বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর, আল কুরআন একাডেমি লন্ডনের ট্রাস্টি, ইডেন একাডেমি কভেন্ট্রি ইউকের ট্রাস্টি এবং সেন্টার ফর অল্টারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ইউকে’র প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
দলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ত্যাগ করে দেশে আসেন ডা. ফরিদ। বর্তমানে আদ্ দ্বীন হাসপাতালে কর্মরত আছেন। যশোর-২ আসন থেকে দাড়িপাল্লা প্রতিকে লড়বেন।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মুহা. আতাউর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মনোনয়নে বহুমাত্রিক গুণের নেতৃত্বের সমাহার। চিকিৎসকরা সমাজের মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিতে এ সকল প্রার্থীরা জনগণের কন্ঠস্বরের ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা যেসব এলাকা থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আমি আশা করবো সেই সব এলাকার জনগণ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। চিকিৎসকরাও নির্বাচিত হয়ে তাদের খেদমতে নিয়োজিত থাকবেন।