ইবি: দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষার্থীরা। রোববার (৯ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে অনুষদটির শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এসময় তারা ‘ধর্মহীন শিক্ষা, অসম্পূর্ণ শিক্ষা’, ‘নৈতিক প্রজন্ম গড়তে হলে, ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই’, ‘ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দাঁও’, ‘ধর্মীয় শিক্ষা নৈতিকতার ভিত্তি’ এবং ‘প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ তৈরি করতে হবে’সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইসলাম শিক্ষা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার হয়ে আসছে। আমরা মনে করেছিলাম গত বছরের ৫ আগস্টের পরে এই অবহেলা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। কিন্তু আমরা দেখি প্রাইমারির সার্কুলারে সংগীত এবং অন্যান্য বিষয়কে ইনক্লুড করা হয়। অথচ এ দেশের আপামর জনতার ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ ইসলাম শিক্ষাকে বাহিরে রাখা হয়। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
তারা আরো বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীকে যা শেখানো হবে তাই প্রতিস্ফুটিত হবে। তাদের যদি ইসলাম বিদ্বেষী কোনো শিক্ষক ইসলাম শিক্ষা পড়াতে চায় তাহলে তারা বিপথে যাবে। আমরা দেখেছি, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম শিক্ষা পড়াতে গিয়ে ইসলামকে কটূক্তি করা হয়েছে। আমরা চাই প্রাথমিক শিক্ষায় ইসলাম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে, সাথে কোরআনকে সংযুক্ত করতে হবে। এর সঙ্গে ইসলামের যথাযথ জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি নিয়োগ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ কোনো ব্যক্তিগত দাবি নয় বরং সারাদেশের মানুষের দাবি। প্রাথমিক শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা অবহেলিত হওয়ায় শিশুদের নৈতিক ও দেশপ্রেমিক চেতনা গড়ে উঠছে না, ফলে সমাজে দুর্নীতি বাড়ছে। বর্তমানে ৬৫ হাজারেরও বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো ধর্মীয় শিক্ষক নেই। এসব প্রতিষ্ঠানে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় জ্ঞানে শিক্ষিত করতে হবে। দ্রুত আমাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।