ফরিদপুর: জেলার বোয়ালমারী উপজেলায় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ-অগ্নিসংযোগ ও কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় দুইটি পৃথক মামলায় ৩ মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ ৯৭৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৮ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, শনিবার রাতে বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলার কোন আসামি এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি।
গত ৭ নভেম্বর বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি, ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের গ্রুপ ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি, সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় মোটরসাইকেল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় খন্দকার নাসিরুল ইসলামের গ্রুপের বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে শামসুদ্দিন ঝুনু মিয়াকে প্রধান আসামি করে জনতা পার্টির ১ নম্বর উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে ২ নম্বর আসামী করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ও অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করে শনিবার থানায় এজাহার দেয়।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন ঝুনু মিয়া গ্রুপের সাবেক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান বাবু বাদী হয়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে ১ নম্বর করে ১৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় এজাহার দেন। পৃথক দুটি মামলায় শনিবার রাতে নথিভুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) আসন বাদে তিনটি আসনে বিএনপির প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে।