ঢাকা: বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্কলার্স অ্যান্ড ফেলোসের (বিএসিএসএফ) সহযোগিতায় ‘কমনওয়েলথ অ্যালামনাই এনগেজমেন্ট ইভেন্ট ২০২৫’ আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। অনুষ্ঠানটিতে একশ’ জনেরও বেশি কমনওয়েলথ অ্যালামনাই, উদ্ভাবক, শিক্ষাবিদ ও তরুণ পেশাজীবী অংশ েনন। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর সিক্স সিজনস হোটেলে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
‘উদ্যোগ, উদ্ভাবন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি’, এ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ আয়োজনে কমনওয়েলথ অ্যালামনাইদের নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন উদ্যোগ ও সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, এসব উদ্যোগের সামাজিক প্রভাব এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর অবদানও উঠে আসে আলোচনায়।
দিনব্যাপী এই আয়োজনে ছিল অ্যালামনাইদের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে প্রদর্শনী, নলেজ-শেয়ারিং সেশন, দলগত আলোচনা, এবং মানসিক সুস্থতা নিয়ে একটি বিশেষ পর্ব। এ পর্বে উদ্যোক্তা হওয়ার যাত্রায় মানসিক দৃঢ়তার ভূমিকাকে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব এডুকেশন তৌফিক হাসান। তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথ স্কলার এবং ফেলোরা বাংলাদেশে উদ্ভাবনী পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। পারস্পরিক সহযোগিতা, শিক্ষা ও ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই নেটওয়ার্ককে সহযোগিতা করতে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বিএসিএসএফ’র সভাপতি অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান জাতীয় উন্নয়ন প্রচেষ্টায় কমনওয়েলথ অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি অ্যালামনাই, প্রতিষ্ঠান এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যহত রাখতে আহ্বান জানান।
আয়োজনে নির্বাচিত অ্যালামনাইরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কমিউনিটি সেবাসহ বিভিন্ন খাতে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এছাড়াও, বক্তাদের আলোচনায় যৌথ উদ্যোগ, মেন্টরশিপ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যালামনাই-নেতৃত্বাধীন প্রকল্প সম্প্রসারণের সুযোগ নিয়েও আলোচনা করা হয়।
কমনওয়েলথ অ্যালামনাই এনগেজমেন্ট ইভেন্ট ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি দীর্ঘস্থায়ী ও চলমান উদ্যোগের অংশ। যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন বৃত্তি ও ফেলোশিপের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের উন্নয়নে সফলভাবে কাজে লাগানো এ আয়োজনের লক্ষ্য।