Sunday 09 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেমিনারে বক্তারা
নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগে ঝুঁকি তৈরি করছে

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
৯ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৩৯

হোটেল ওয়েস্টিনে ‘বাংলাদেশ-কোরিয়া’ ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে সেমিনার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বড় বিনিয়োগে ঝুঁকি তৈরি করছে। এরসঙ্গে অতিরিক্ত ভোগান্তির নতুন নাম যোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতি।

রোববার ( ৯ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ‘বাংলাদেশ-কোরিয়া’ ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে সেমিনারে অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নীতি গ্রহণে দেরি না করে বরং সুদূরপ্রসারী চিন্তা ভাবনা করতে হবে বলে জোর দিয়েছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, টেকসই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা সমাধান মন্তব্য করে তারা বলেন, জাতীয় স্বার্থকে নিরাপদ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘এলডিসি পরবর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ সহজ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৬ সালের আগেই অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের চুক্তি করতে চায়।’ এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে বছরে এক বিলিয়ন ডলার কমবে বলে মনে করেন তিনি।

সেমিনারে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য বেশ কয়েকটি চ‍্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে- অর্থনৈতিক সংকট, জাতীয়বাদের উত্থান। দক্ষিণ এশিয়া ঘিরে উত্তেজনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলে রয়েছে পরাশক্তিদের খেলা। এছাড়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সংকটের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে। সে কারণে টেকসই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাই একমাত্র সমাধান।’ এক্ষেত্রে আগে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে নিরাপদ করতে হবে বলে মনে করেন হুমায়ুন কবির।

অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ব‍্যবসায়িক সংকট বাড়ছে। আর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মার্কিন শুল্ক, যা পুরো বিশ্বকে ভোগান্তিতে ফেলছে।’

অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসি বলেন, ‘সেমিকন্ডাক্টরে কোরিয়া-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এটা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে করা যায়, যেহেতু বাংলাদেশে প্রচুর ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল আছে। এছাড়া বাংলাদেশ-কোরিয়া প্রতিরক্ষা খাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের দক্ষিণ কোরিয়ার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. সং কুয়ানজিন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর