Sunday 09 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষীরা
‘সমন পাইনি, কোনো ফোন-ইমেইলও নেই’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১০ নভেম্বর ২০২৫ ০০:১৪

আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

রংপুর: গণঅভ্যুত্থানে শহিদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‘সাক্ষী আনতে ব্যর্থ’ বলে প্রচারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সাক্ষীরা। তারা বলেছেন, সমন পাইনি, কোনো ফোন-ইমেইল নেই।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ সময় সাক্ষীরা বলেন, ট্রাইব্যুনাল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগই করেনি। অথচ তিনবার ‘সাক্ষী অনুপস্থিত’ বলে সংবাদ ছড়ানো হয়েছে। তারা নির্বাচনের আগে রায়, জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী মামলায় সঠিক আসামি অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

মামলার অন্যতম সাক্ষী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, ‘আমরা সাক্ষ্য দিতে মুখিয়ে আছি। কোনো যোগাযোগ হয়নি। আবু সাঈদের মামলা দুই হাজার শহিদের বিচারের প্রতীক। সারাদেশ তাকিয়ে আছে। নির্বাচনের আগে রায় চাই। এটি গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য-ব্যর্থতার মাপকাঠি হবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস চালানো ২৮ জনের নাম-প্রমাণ প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বিস্ফোরক আইনে মামলায় মাত্র ১৩ জনকে রাখা হয়েছে। ৭-৮ মাসে একজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।’

ইউজিসির প্রধান কর্মকর্তার ‘জুলাই যোদ্ধাদের সতর্ক থাকুন’ বার্তার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দুই যোদ্ধা আত্মহত্যা করেছেন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাদের নিরাপত্তা চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই সংগ্রাম ঐক্য পরিষদ’ নামে গেজেটেড জুলাই যোদ্ধাদের সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করা হয়। সূত্রে জানা গেছে, আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, কিন্তু সাক্ষ্যগ্রহণে ধীরগতি। ট্রাইব্যুনাল ২০২৫ সালের অক্টোবরে তিনবার তারিখ দিয়ে ‘সাক্ষী অনুপস্থিত’ বলে সংবাদ প্রকাশ করে। সাক্ষীরা বলেন, ‘সমন পাইনি, কোনো ফোন-ইমেইল নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসী মামলায় প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা যাচাই চলছে, সতর্কতামূলক বার্তা নিরাপত্তার জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে শতাধিক শিক্ষার্থী-যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনা বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মামলার সাক্ষীরা।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর