Monday 10 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তিন প্রকল্পে ৪০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে ডেনমার্ক

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১৯ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৪২

-ছবি : প্রতীকী ও সংগৃহীত

ঢাকা: মানবাধিকার সুরক্ষা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে ২৫ মিলিয়ন ডেনিশ ক্রোন (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) আর্থিক সহায়তা দেবে ডেনমার্ক। ডিগনিটি, আইএমএস ও ড্যানিশ ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস-এর সমন্বয়ে গঠিত একটি কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার ডেনমার্ক দূতাবাস-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দূতাবাস জানায়, গঠিত এ কনসোর্টিয়াম স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে কাজ করবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজকে শক্তিশালী করার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দায়মুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি অনন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে। কনসোর্টিয়ামের তিনটি সংস্থাই এমন দেশে কাজের অভিজ্ঞতা রাখে, যেখানে দমনমূলক শাসন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়া একসঙ্গে বিদ্যমান এবং যেখানে নাগরিক সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কার এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে, কারণ এই তিনটি সংস্থা নাগরিক সমাজকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রচারে সহায়তা করার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রাখে। ড্যানিশ ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সংস্কার ও শক্তিশালীকরণের ওপর বিশেষভাবে কাজ করবে।

বিজ্ঞাপন

ডিগনিটি-এর সিইও রাসমুস গ্রু ক্রিস্টেনসেন বলেন, একটি শক্তিশালী নাগরিক সমাজ মানবাধিকার অগ্রগতি, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং নির্যাতন ও সহিংসতার শিকারদের পুনর্বাসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিগনিটি বাংলাদেশের স্থানীয় অংশীদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও সহায়তার মাধ্যমে সারভাইভার-কেন্দ্রিক সেবা প্রদানে সহায়তা করতে আগ্রহী।

আইএমএস-এর নির্বাহী পরিচালক জেসপার হোইবেরগ বলেন, আমরা জানি, অর্থবহ পরিবর্তন কেবল প্রকৃত অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই সম্ভব। স্থানীয় সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাতের ভিত্তি শক্তিশালী করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হলো- এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে প্রত্যেকে বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তথ্য পেতে পারে, সাংবাদিকরা সুরক্ষিত থাকে এবং বিভিন্ন মতের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।

ড্যানিশ ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ-এর আন্তর্জাতিক পরিচালক মেটে থাইগেসেন বলেন, আমরা দেখি, এখন বাংলাদেশের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও নাগরিক সম্পৃক্ততার এক বিশেষ সুযোগ তৈরি হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কার্যকর ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নাগরিক সমাজ ও তরুণদের সঙ্গে কাজ করে মানবাধিকার দাবি ও সংস্কারের রূপরেখা তৈরিতে সহায়তা করব।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর