ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান কোনো একক ব্যক্তির বা দলের কৃতিত্ব নয়, বরং দীর্ঘ ১৬ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফসল।
সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ‘সংগ্রামের গান’ শিরোনামে জাসাসের একটি নতুন অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মঈন খান বলেন, “বাংলাদেশ আজ ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে। ৫ আগস্টের আন্দোলন ছিল জনগণের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের চূড়ান্ত প্রকাশ। এটা কেবল ছাত্রদের আন্দোলন নয়—এটা ছিল মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। এই সংগ্রামে দেশের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচন নয়, বরং রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ করা। এদেশে একদলীয় মনোভাব ও কর্তৃত্ববাদী শাসন গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে। এখন সময় এসেছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার।”
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, গত দেড় দশকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর ভয়াবহ দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। “অনেকে গুম হয়েছেন, কেউ কেউ প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু জনগণের আন্দোলন থেমে থাকেনি,” বলেন তিনি।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তুলে ধরে মঈন খান বলেন, “এটি কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়। বিগত ১৬ বছর ধরে দেশের ৪৩টি রাজনৈতিক দল ও অসংখ্য নাগরিক সংগঠন গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে যে সংগ্রাম করেছে, তারই ফল হলো শেখ হাসিনা সরকারের পতন।”
সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, “রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক মুক্তিও জরুরি। জাসাস বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের চেতনা জাগিয়ে তুলেছে, যা গণতান্ত্রিক চেতনার অংশ।”
অনুষ্ঠানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।