চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় দুটি আলাদা স্থান থেকে এক নারীসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে নারীকে খুনে করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে আধাঘণ্টার ব্যবধানে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের মদুনাঘাট ও পৌরসভার আলমপুর থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, মদুনাঘাট এলাকা থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারীর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। আলমপুর থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। তবে তাদের কারও নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্তে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পুলিশ উভয় মরদেহর আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে।
পুলিশ জানায়, সকাল ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের পাশে হালদা নদীর সংযোগস্থলে স্লুইচ গেটের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় নারীর মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি পচে ফুলে গেছে। পুলিশের ধারণা, কমপক্ষে ৩-৪ দিন আগে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার আলমপুর এলাকায় একটি মাছের খামারের পুকুর পাড় থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জাতীয় সেবা নম্বর ট্রিপল ৯ তথ্য পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা পুরুষের মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত অথবা স্বাভাবিকভাবেও হতে পারে। যদি-ও খামারের লোকজন তাকে কেউ চিনতে পারছেন না। সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। তবে মদুনাঘাটে যে নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে, তাকে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সম্ভবত শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’