ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েসের নবীনবরণ অনুষ্ঠান-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল একাডেমিক ভবনের গগন হরকরা গ্যালারিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নবীন সদস্যদের ফুল, কলম ও গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিম আলী ও অদিতি সরকারের যৌথ সঞ্চালনা এবং ইমতিয়াজ আহমেদ ইমনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আলমগীর কবির, খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, ইবি শাখার উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আরমিন খাতুন, সহকারী-অধ্যাপক আরিফুর রহমান এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক এস এম সুইটসহ প্রায় শতাধিক নবীন সদস্য।
নবীনদের উদ্দেশ্য সংগঠনটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমন বলেন, ‘আজকের এই দিনটি গ্রিন ভয়েস পরিবারের জন্য একটি আনন্দঘন দিন। আমরা আজ নতুন কিছু মুখ, নতুন কিছু উদ্যম, নতুন কিছু স্বপ্নকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত করছি। তোমাদের আগমনে আমাদের পরিবার আরও বড়, আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। গ্রিন ভয়েস জন্মলগ্ন থেকেই পরিবেশ সচেতনতা, মানবিকতা ও ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি ছোট একটি উদ্যোগও বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। আর সেই পরিবর্তনের যাত্রায় তোমরাই হবে আমাদের আগামী দিনের নেতৃত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের মেধা, উদ্যম ও ভালোবাসাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই আমরা আশা করি, তোমরা শুধু সংগঠনের সদস্য নয়, বরং প্রকৃতি ও মানবতার সেবায় একনিষ্ঠ সৈনিক হয়ে উঠবে। আজকের এই নবীন বরণ শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি একটি অঙ্গীকার সবুজের প্রতি, সত্যের প্রতি, মানুষের প্রতি।’
সহকারী অধ্যাপক আনিসুল কবির বলেন, ‘পৃথিবীতে যতগুলো পরিবেশবাদী সংগঠন রয়েছে, গ্রিন ভয়েস তার মধ্যে অন্যতম। আমাদের সংবিধানে পরিবেশ বিষয়ে বিভিন্ন আইন রয়েছে। কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়ন কখনো হয়নি। তাই পরিবেশের সুরক্ষা কখনোই নিশ্চিত হয়নি। তাই পরিবেশ সংরক্ষণের এ দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। নিয়মানুযায়ী, দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু রয়েছে মাত্র ৭-৮ শতাংশ। এদিকে আমরা বেশি বেশি গাছ না লাগিয়ে বনগুলো উজাড় করে দিচ্ছি। আমাদের সবাইকে বনভূমি রক্ষা করতে হবে এবং বসত ভূমির ৩০ শতাংশ জায়গাতে গাছ লাগাতে হবে। আমাদের বেসিক নিডে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত পরিবেশে। এই দশকে আমরা পরিবেশকে পুনরুদ্ধার বা করতে পারলে আর কখনো সম্ভব হবে না। আর এ পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব রাষ্ট্রসহ আমাদের সবাইকে নিতে হবে।’