নোয়াখালী: অনলাইন ও বিকাশ প্রতারণা চক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. শাহ আলম (২৯)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গজারিয়া গ্রামের উত্তর পাড়া মিয়া বাড়ির এরশাদ মিয়ার ছেলে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের করিমপুর রোড এলাকা থেকে শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান।
পিবিআই জানায়, ২০২৩ সালে শাহ আলম ভুক্তভোগীর কাছে ফেসবুক আইডির মাধ্যমে একটি লিংক পাঠিয়ে মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে পার্ট-টাইম অনলাইন কাজের প্রলোভন দেখান। প্রথমে ২০০ টাকায় ২৬০ টাকার প্রোডাক্ট কিনে ৩৭০ টাকা ফেরত দিয়ে ভুক্তভোগীর আস্থা অর্জন করে। এর ধারাবাহিকতায় তিনি বিভিন্ন সময় অনলাইনে লেনদেন করতে থাকেন।
অতিরিক্ত লাভের আশায় ভুক্তভোগী শেষ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৮ টাকা শাহ আলমের বিকাশসহ বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পাঠান। পরবর্তীতে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্তে পিবিআই জানতে পারে, শাহ আলম চীনের চংচিং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সিজিপিএ ২.৭৩ পেয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় দেশে ফিরে এসে বেকার অবস্থায় অনলাইনে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন দেখে সে প্রতারণার পথে জড়িয়ে পড়ে।
পিবিআই আরও জানায়, শাহ আলম তার বড় ভাই নুর আলমের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পার্ট-টাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনলাইন প্রতারণা চালাত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয় এবং সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।