Tuesday 11 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অগ্রণী ব্যাংকের ২২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সাবেক দুই এমডিসহ ৯ জনের নামে মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:০৩ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৪

-ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের জন্য ফ্লোর স্পেস কেনার নামে প্রায় ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রহুল হক বাদী হয়ে এ মামলাগুলো করেছেন। এতে দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হামিদ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবুল বাশার সেরনিয়াবাত ও মো. দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক সাধন চন্দ্র মণ্ডল, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল খালেক, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আওলাদ হোসেন এবং আলমপনা বিল্ডার্স লিমিটেড-এর এমডি মো. আসাদ।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের বাবুবাজার শাখা এবং ঢাকা দক্ষিণাঞ্চল কার্যালয়ের জন্য অফিস স্পেস কেনার অনুমোদন ছাড়াই অগ্রিম ১৪ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের নীতিমালা উপেক্ষা করে এ লেনদেন সম্পন্ন করেন। তাদের অনিয়মের কারণে সরকারি তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।

অপর মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন না করেই আলমপনা বিল্ডার্সের ‘আলমপনা রব-নূর টাওয়ার’ নামের ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফ্লোর স্পেস কেনার নামে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। এমন কী ভবনের জমির মালিকানা সংক্রান্ত দলিল সম্পাদনের আগেই আসামি মো. আসাদ ব্যাংকের কাছে বিক্রয় প্রস্তাব দেন।

দুদকের অভিযোগ আরও বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি এক হাজার বর্গফুটের একটি ফ্লোর স্পেস কেনার নোট উপস্থাপনের পর আবুল বাশার সেরনিয়াবাত ও সাধন চন্দ্র মণ্ডলের সুপারিশে ব্যাংকটির সাবেক দুই এমডি ক্রয় অনুমোদন দেন এবং মো. আসাদের অনুকূলে এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ছাড় করেন। এভাবে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে একাধিক ধাপে মোট ২২ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।