Tuesday 11 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড উপকূল
রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকা ডুবিতে দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার শোক ও উদ্বেগ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৮ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৫০

-ছবি : সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের উপকূলে রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের ৭০ জন লোককে বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা ‘আইওএম’।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংস্থা দুটি এ কথা জানায়।

মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ ১৩ জনকে নিরাপদে তীরে নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে থাই কর্তৃপক্ষ দুই কিশোরী রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে এবং কমপক্ষে ২১ জন মারা গেছে। বাকি যাত্রীদের খোঁজ নেই।

বিবৃতিতে, ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে উদ্ধার করার জন্য মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রশংসা করেছে ইউএনএইচসিআর এবং আইওএম। ইউএনএইচসিআর এবং আইওএম উদ্ধারকারী জাহাজ থেকে নামার পর এই মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। ইউএনএইচসিআর এবং আইওএম সম্ভাব্য প্রাণহানির মাত্রা সম্পর্কে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, কারণ কমপক্ষে আরও একটি নৌকা এখনও সমুদ্রে রয়েছে বলে জানা গেছে। যেখানে আরও ২৩০ জন যাত্রী রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইউএনএইচসিআর ও আইওএম জানায়, এই বছর এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার থেকে বিপজ্জনক সামুদ্রিক যাত্রা শুরু করেছে। যার মধ্যে ৬০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ বা তাদের জীবন হারিয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে সীমিত সহায়তা ও সুযোগের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতি, তহবিল কাটছাঁটের ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বিপজ্জনক সমুদ্র ভ্রমণের চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপজ্জনক সমুদ্র যাত্রায় আসা রোহিঙ্গাদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি নারী ও শিশু।

বিবৃতিতে বলা হয়, জীবন বাঁচানো এবং সমুদ্রে দুর্দশাগ্রস্তদের উদ্ধার করা একটি মানবিক বাধ্যবাধকতা এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের অধীনে দীর্ঘদিনের দায়িত্ব। ইউএনএইচসিআর এবং আইওএম এই ধরনের ট্র্যাজেডি এড়াতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার সক্ষমতা এবং নিরাপদ আশ্রয়ের অ্যাক্সেস বাড়ানোর জন্য আরও সম্পদ এবং শক্তিশালী আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আহ্বান অব্যাহত রেখেছে।

তাদের মতে, এই সংকটের রাজনৈতিক সমাধান এবং মিয়ানমারে শত্রুতা অবসানে বৃহত্তর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমর্থনও প্রয়োজন। মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শরণার্থীরা নিরাপত্তার সন্ধানে বিপজ্জনক যাত্রা চালিয়ে যাবে। ইউএনএইচসিআর এবং আইওএম দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ মূল রুটে চলাচলকারী শরণার্থী, অভিবাসী এবং রাষ্ট্রহীন লোকদের সুরক্ষা ও সমাধান জোরদার করতে জাতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে। এই ‘রুট-ভিত্তিক পদ্ধতির’ লক্ষ্য জীবন বাঁচানো, মানুষকে রক্ষা, ক্ষতি হ্রাস এবং কার্যকরভাবে মিশ্র চলাচল পরিচালনায় রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা করা।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর