Tuesday 11 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উচ্চ মূল্যের ফ্যাশনেবল পোশাকের আমদানি বাড়াতে জাপানি ক্রেতাদের আগ্রহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৩০ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৪

-ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে উচ্চ মূল্যের ও ফ্যাশনেবল পোশাকের আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপানি ক্রেতারা।

বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর সঙ্গে সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ‘জাপান টেক্সটাইল ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ (জেটিআইএ)-এর একটি প্রতিনিধিদল তাদের এ আগ্রহের কথা জানায়।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিজিএমইএ’র পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো- বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে জাপানে পোশাক রফতানি বাড়াতে উভয় পক্ষ কীভাবে একসাথে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন কৌশলগতভাবে বাজার বহুমুখীকরণের উপর জোর দিয়েছে এবং এক্ষেত্রে জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় বাজার।

তিনি বলেন, পোশাক শিল্প এখন মৌলিক কটনভিত্তিক পণ্য থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সিনথেটিক ফেব্রিক্স এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ভিত্তিক পোশাকে স্থানান্তরের মাধ্যমে পণ্যের অফারকে উচ্চ-মূল্যের বিভাগে নিয়ে যাওয়ার জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তিনি জাপানি ক্রেতাদের প্রতি বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং বাড়ানোর জন্য আহবান জানান।

বৈঠকে জেটিআইএ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি, সামাজিক ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স এবং শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কল্যান নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তারা বলেন, উচ্চমানের পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায়, জাপানের ক্রেতারা এখন উচ্চমূল্যের এবং ফ্যাশনেবল পণ্যের জন্য বাংলাদেশকে একটি সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে আস্থায় নিয়েছেন।

অন্যান্যের মধ্যে জাপানি ক্রেতারা সংক্ষিপ্ততম লিড টাইমের মধ্যে পণ্য আমদানির উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। লিড টাইম হ্রাসের সুবিধার্থে, তারা বাংলাদেশের কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালন দক্ষতা আরও বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেন।

বিজিএমইএ নেতারা জাপানে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য জেটিআইএ প্রতিনিধিদলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এর জবাবে প্রতিনিধিদলটি বলেছে যে, তারা বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই জাপান সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

বিজিএমইএ এর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বাজার প্রবণতা সংক্রান্ত তথ্য ও গবেষণা শেয়ার করা জন্যও প্রতিনিধিদলটিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বৈঠকে পোশাক রফতানিতে মার্কিন শুল্কের প্রভাব, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এর সম্ভাব্য প্রভাবসহ পোশাক শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, উত্তরণের পরেও শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য জেটিআইএ এর মাধ্যমে জাপান সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানান। তিনি মত প্রকাশ করেন যে, এই সুবিধাটি ইপিএ অথবা পিটিএ এর মতো একটি পারস্পরিকভাবে লাভজনক কাঠামোর মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে।

বৈঠকে উভয় সংগঠনই পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা ও জাপানে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বাড়াতে একসাথে কাজ করার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর