Tuesday 11 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় মিছিল-সমাবেশ আরও ১ মাস নিষিদ্ধ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ নভেম্বর ২০২৫ ২০:০০

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় ফের ৩০ দিনের জন্য যেকোনো ধরনের মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, পথসভা নিষিদ্ধ করেছে নগর পুলিশ। বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা পরিচালনার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে আরেকবার এ সিদ্ধান্ত এসেছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৯ অক্টোবর জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ১১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৩০ দিন মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, পথসভা নিষিদ্ধ করেছিল নগর পুলিশ। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আজ (মঙ্গলবার) শেষ হওয়ার পর আরেকদফা গণবিজ্ঞপ্তি এল।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৮ এর ৩০ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সিএমপি কমিশনার এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন উল্লেখ করে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী বুধবার (১২ নভেম্বর) থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরসংলগ্ন বারেক বিল্ডিং মোড়, নিমতলা মোড়, ৩ নস্বর জেটি গেট, কাস্টমস মোড়, সল্টগোলা ক্রসিংসহ বন্দর এলাকায় যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক, শ্রমিক বা সামাজিক সংগঠনের মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, পথসভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আগের মতো বিজ্ঞপ্তিতে এর কারণ ব্যাখা করে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। দেশের মোট আমদানি ও রফতানির সিংহভাগ কার্যক্রম এই বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, শিল্পকারখানার কাঁচামালসহ আমদানি ও রফতানিযোগ্য পণ্য পরিবহণের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার যানবাহন চট্টগ্রাম বন্দরে চলাচল করে।

এই বিপুল পরিমাণ যানবাহন চলাচলের কারণে বন্দরের আশপাশে ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বন্দর এলাকায় মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, পথসভা আয়োজনের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়ার চর এবং বে-টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব ইজারার ভিত্তিতে বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার কথা। এর প্রতিবাদে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন ও বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, ছাত্র ও পেশাজীবী সংগঠনও এতে একাত্ম হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর