Wednesday 12 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পে-স্কেলের একটি ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাব, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অর্থের সংস্থান’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৫ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:২০

-ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন পে-স্কেলের একটি ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাবে- বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আমাদের সময় এটা করতে পারবো কি না, এটা কিছুটা অনিশ্চিত। তবে আগামী সরকার বিষয়টি সিরিয়াসলি নেবে বলে আশা করছি। আর নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অর্থের সংস্থান নিশ্চিত করা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পে কমিশনের কাজটা কিন্তু অত্যন্ত জটিল। ওরা একেবারে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। ওখানে কিন্তু আমাদের কোনো রকম ভূমিকা নেই। ওইখানে সিভিল ও আর্মিদের জন্য আলাদা ভাগ আছে। এখন তিনটা রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রথমে রিপোর্টগুলো রিকনসাইল করতে হবে। তারপর সেট-আপ দেব। এরপর সচিব কমিটি, জনপ্রশাসন বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয় পর্যায়ক্রমে বিষয়গুলো যাচাই করবে। এ প্রক্রিয়ার শেষে পে-স্কেল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সেজন্য রিপোর্ট পাওয়ার পর একটি মোটামুটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হবে। যদি নির্ধারিত সময়ে রিকনসাইল করতে পারি, তবে তা প্রয়োগ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

রাজনৈতিক সরকার আসলে বিষয়টি ঝুলে যাবে কি না- তা নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটাতে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়া অপ্রত্যাশিত। এটা তো আমরাই ইনিশিয়েটিভ নিয়ে করেছি। ৮ বছর ওরা (সরকারি চাকরিজীবীরা) অপেক্ষা করতে পেরেছেন, এখন আমাদের ১২ মাসে আমরা একটা চেষ্টা করছি। তাদের বরং ধন্যবাদ দেওয়া উচিত যে, আমরা চেষ্টা করছি, একটা ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাবো।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, এখানে বাজেটের একটা ব্যাপার আছে। পে-স্কেল ছাড়াও স্বাস্থ্য খাতে, শিক্ষা খাতে অন্যান্য উন্নয়ন ব্যয় আছে। সেগুলোও তো আমাদের দেখতে হবে।

জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা একটি রিপোর্ট দিয়েছে- আমাদের দেশে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে এবং ১৬ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগবে। এ প্রসঙ্গে করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওরা যেটা দিয়েছে, ওদের তো কতগুলো ইন্টারন্যাশনাল নর্মস আছে। তবে বাংলাদেশের যে একেবারে হাঙ্গার… এমন না। এই সেক্টরে আমরা মোটামুটি পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের চেয়েও বেটার। তবে আমরা একটু সজাগ যে একেবারে ব্যালেন্স ফুড এবং যেন খাদ্যের কোনো সমস্যা না হয়।

সারাবাংলা/এসআর
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর