ঢাকা: চলতি ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমানো এবং মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা বাড়ানোর পূর্বাভাস দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ এবং ‘অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন পূর্বাভাস দেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তবে বাজেট থেকে যে একটা খুব বিরাট ব্যত্যয় ঘটবে তা নয়। মোটামুটি আমরা শুধু প্রবৃদ্ধি বলেছি, প্রবৃদ্ধি আমরা কমিয়েছি, আর মূল্যস্ফীতি আমরা বলেছিলাম ৫, সেটা ৭ করেছি। এখন এ দুইটা মেজর জিনিস আমরা রেখেছি। আর বাকিগুলোর টাকার অঙ্কগুলো খুব বেশি হেরফের হবে না মনে হয়। আমরা দেখি শেষ পদ্ধতিতে কতটুকু টেকে।
মূল বাজেট ও এডিপি’র বাস্তবসম্মত আকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই সময়ের কনটেক্সটে ওটা রিয়েলিস্টিক ছিল। আমরা যখন বাজেট ইমপ্লিমেন্টে যাই তখন নানা রকম ইস্যু আসে। প্রথমেই অর্থসংস্থানের ব্যাপার আছে। এনবিআর বন্ধ থাকার পর আমরা যাচাই করছি, তারপর যারা ইমপ্লিমেন্ট করছে তাদের ব্যাপার আছে, সবাই তো ইমপ্লিমেন্ট করতে পারে নি। অনেক রকম ইস্যু চলে আসে।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বিশেষত বিপিসি ও পেট্রোবাংলার কাছ থেকে সরকারের বকেয়া পাওনা উদ্ধার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তাড়া দিচ্ছি। ওদের অনেক রকম ফ্যাক্টর আছে। আমরা যে দামে পেট্রোল কিনি, সেই দামে তো বিক্রি করতে পারছি না। আমরা তো প্রাইস অ্যাডজাস্ট করতে পারছি না। আমরা যদি বলি যে- তোমরা প্রাইস বাড়িয়ে দাও, অন্তত তারা তা দিতে পারতো। সবদিক দেখতে হবে তো। তবে আমরা কনসার্ন রাজস্ব বাড়ানোর জন্য। আমরা রাজস্ব বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি। ট্যাক্স যেন ফাঁকি না দেয়, লিকেজ যেন না হয়। ওইদিকে বেশি নজর দিয়েছি।
নির্বাচন উপলক্ষে বডি ক্যামেরা কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, বডি ক্যামেরার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো, ওটা কিছু কাজ আছে বাকি। হয়তো কয়েকদিনের মধ্যে আমরা করতে পারবো।
১৩ নভেম্বর ঘিরে বিভিন্ন পরিবহনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এতে অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওটা আমি বলতে পারবো না। ওটা আমি অ্যাসেস করতে পারবো না।