Wednesday 12 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশ সফরে এলেন সুইডেনের মানবাধিকার বিষয়ক দূত ইরিনা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৯ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৩

সুইডেনের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন বিষয়ক দূত ইরিনা শুলজিন-ন্যোনি।

ঢাকা: বাংলাদেশ সফরে এসেছেন সুইডেনের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন বিষয়ক দূত ইরিনা শুলজিন-ন্যোনি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় এসেছেন তিনি।

ঢাকার সুইডেন দূতাবাস জানিয়েছে, ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান এ সফরে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিনিধিসহ নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সহযোগী, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

আলোচনার মূল বিষয় হবে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সহযোগিতা জোরদার করা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দূতাবাস জানায়, সুইডেন দীর্ঘদিন ধরে বৈশ্বিক পরিসরে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে দেশটি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক পরিসরে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার থাকতে একজন বিশেষ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দায়িত্বের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত শুলজিন-ন্যোনি লিঙ্গসমতা, গণতন্ত্র ও জবাবদিহি— এই তিনটি বিষয়ের ওপর সুইডেনের পররাষ্ট্রনীতির যে অগ্রাধিকার রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।

বাংলাদেশে সুইডেন মানবাধিকার রক্ষায় উন্নয়ন সহযোগিতা, রাজনৈতিক সংলাপ ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে— নারীদের ক্ষমতায়ন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ, শিক্ষা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করার মতো উদ্যোগ।

সফরটি বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)-এর সঙ্গে সুইডেনের অংশীদারত্বকেও গুরুত্ব দিচ্ছে।

২০২৫ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রথম ওএইচসিএইচআর মিশন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে এই সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হয়েছে। এই অংশীদারত্বের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জবাবদিহি বৃদ্ধি, জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা জোরদার এবং নাগরিক পরিসর রক্ষা করা।

সুইডেনের নমনীয় অর্থায়নের কারণে ওএইচসিএইচআর তার উপস্থিতি বজায় রাখতে এবং কার্যকর ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গুমের ঘটনা অনুসন্ধান কমিশনকে সহায়তা, যা প্রায় দুই হাজার মামলার তথ্য নথিভুক্ত করেছে।

এই সহযোগিতার মাধ্যমে সুইডেন এবং ওএইচসিএইচআর একসঙ্গে ন্যায়বিচার, লিঙ্গ সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার অগ্রগতি ঘটিয়ে যাচ্ছে। তারা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, আইন সংস্কার, তরুণ প্রজন্ম ও উদীয়মান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের ক্ষমতায়নেও সহায়তা করছে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর