Wednesday 12 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুয়েকটি মিডিয়া নিষিদ্ধ দলের কর্মসূচি প্রচার করছে: রিজভী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ নভেম্বর ২০২৫ ২০:৩৮ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ২২:০২

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের কিছু মিডিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের মানববিধ্বংসী ও হিংস্র কর্মসূচি প্রচার করছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ ধরনের প্রচার চালানো গণমাধ্যমগুলোকে কি আইনের আওতায় আনা সম্ভব নয়?

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জিয়াউর রহমান আর্কাইভ’-এর উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এখন ক্ষমতায় আছে, যাকে সব গণতন্ত্রকামী দল সমর্থন করেছে। অথচ নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি দলের কর্মসূচি প্রচার করা হচ্ছে— এটা ফ্যাসিবাদী চক্রান্তের অংশ। এই চক্রান্তের নেটওয়ার্ক শুধু ফ্যাসিবাদীরাই করছে না, এর সঙ্গে আরও বিভিন্ন শক্তি জড়িত হয়েছে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণেই ‘পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের উত্থানের আওয়াজ’ শোনা যাচ্ছে। রিজভীর ভাষায়, ‘তাদের গলার আওয়াজ এখন অডিও-ভিডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তীব্রভাবে শোনা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে—১৩ তারিখ ‘লকডাউন’’। প্রশ্ন হচ্ছে—কিসের লকডাউন, কার লকডাউন? টাকার কোনো অভাব নেই তাদের। ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় প্রকল্প থেকে লুট করা অর্থ দিয়েই এখন আগুন ও বোমা বানানো হচ্ছে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে তারা নিজেরাই বিভিন্ন সময়ে বাসে আগুন দিয়ে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপিয়েছে। আমরা তখনই বলেছিলাম— এটা সরকার নিজেরাই করছে, এবং এর প্রমাণও আমরা দিয়েছিলাম।’

রিজভী দাবি করেন, সরকারের ভেতরেই ষড়যন্ত্রকারী শক্তি সক্রিয় আছে। ‘আমি সবার কথা বলছি না, তবে কিছু মানুষ সরকারের ভেতর থেকেই এসব চক্রান্তের অংশ।’

গণভোট ও নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্যে বলা হয়েছে, গণভোট না হলে ২০২৯ সালে নির্বাচন হবে। জনগণ ১৫-১৬ বছর ধরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অধিকার থেকে বঞ্চিত। এত সংগ্রাম, আত্মদান, রক্তপাতের উদ্দেশ্যই ছিল অবাধ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। যদি দুটি প্রক্রিয়া—নির্বাচন ও গণভোট—একসাথে চলে, তাতে ক্ষতি কী? বরং এতে আইনি বৈধতা ও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা উভয়ই নিশ্চিত হবে।’

তিনি সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ন্যূনতম কয়েকটি বিষয়ে ঐক্য গড়ে তুলতে পারলেই অগণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সঞ্জয় দে রিপন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর