ঢাকা: কোনো নির্দেশনা বা প্রজ্ঞাপন দিয়ে সংস্কার করা যায় না, এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সংস্কার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংসদের মাধ্যমে হবে। এর বাইরে কোনো সংস্কারের সুযোগ নেই।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘কোনো নির্দেশনা বা প্রজ্ঞাপন দিয়ে সংস্কার হতে পারে না, কোনো দেশে কখনো তা হয়নি। বাংলাদেশে আগামীর যে সংস্কার, সেটা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংসদে হবে। এর বাইরে কোনো সংস্কারের সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে ৩১ দফা সংস্কারের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আমরা বাস্তবায়ন করব। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে সংস্কার করবেন।’
গণতন্ত্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘গণতন্ত্রের দীর্ঘ লড়াইয়ে বাংলাদেশ বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এত ত্যাগের পর আজ আবারও গণতন্ত্র হুমকির মুখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হুমকি এমন সময়ে এসেছে, যখন দেশের মানুষ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকার গঠনের প্রত্যাশায় রয়েছে।’
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বাহক হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের মালিকানার পথে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। এখন প্রয়োজন ৭ নভেম্বরের চেতনা নিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া।’
সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।