ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাস প্রমাণ করেছে—গণতন্ত্রকে দমন করা যায় না, কারণ জনগণই এই দেশের আসল শক্তি।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনটি বড় বাঁকবদল জাতির গতিপথ নির্ধারণ করেছে। প্রথম বাঁকবদল ঘটে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে, যখন আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে এবং শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশ নতুনভাবে এগিয়ে যেতে শুরু করে।’
‘দ্বিতীয় মোড় আসে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর, যখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সামরিক শাসনের অবসান ঘটে এবং সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।’
ড. মঈন খান আরও উল্লেখ করেন, ‘তৃতীয় ঐতিহাসিক বাঁকবদল হচ্ছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ছাত্র অভ্যুত্থান, যা তারেক রহমান ও গণতন্ত্রকামী শক্তিগুলোর দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পর্যায়েই দেখা গেছে, যখনই গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে, তখন জনগণই এর পক্ষে দাঁড়িয়েছে। জনগণের শক্তিকেই আমরা বিশ্বাস করি—কারণ এই শক্তিই পারে বাংলাদেশকে আবারও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে।’