ঢাকা: শান্তি ও অহিংসর মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা প্রদানের লক্ষ্যে বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজধানীর মহাখালী ক্যাম্পাসে ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার খ্যাতিমান অধ্যাপক ও হিউম্যানিস্ট ডিক্লেয়ার আর্নাল্ডো ম্যান্দেজ হেগ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরশাদ আহমেদ মুঘল, হিউম্যানিস্ট মুভমেন্টের আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক এ কে এম সামছুদ্দোহা পাটোয়ারী প্রমুখ।
ডিক্লেয়ার আর্নাল্ডো ম্যান্দেজ হেগ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার সূচনা হয় ব্যক্তিগত পরিবর্তন থেকে। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত ও সামাজিক পরিবর্তন পরস্পর সম্পর্কিত, একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি অর্জন করা সম্ভব নয়। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ব্যক্তিগত ও সামাজিক উন্নয়নকে একসাথে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সমাজে সোশ্যাল মিডিয়াজনিত সহিংসতার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে ধ্যান ও বিনোদনের মাধ্যমে মানসিক সুস্থতা অর্জন করার পরামর্শ প্রদান করেন। ‘সহিংসতা কেবল আরও সহিংসতা জন্ম দেয়’ তাই তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনের কিছু বাস্তবধর্মী কৌশল অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক মো. আবুল কাসেম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, নিজেদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তোমাদের আচরণ পরিবার ও সমাজের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে। তিনি আরও বলেন, দেশে একদিনে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়; তাই প্রথমে ব্যক্তিগত আচরণের পরিবর্তনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সামাজিক পরিবর্তন আনতে হবে।
এরশাদ আহমেদ মুঘল বলেন, আমরা বিশ্বে কোথাও যুদ্ধ বা সংঘাত দেখতে চাই না এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগুলো থাকাও উচিত নয় — এটাই আমাদের মূল ধারণা।
সুলতানা মুশফিকা রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। আইএসইউ’র বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বক্তারা শিক্ষার্থীদের নানান প্রশ্নের উত্তর দেন।