ঢাকা: কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতা ও নৈরাজ্য ঠেকাতে ভোরেই রাজধানীতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর বিভিন্নস্থানে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পরপরই তাদেরকে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এদিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-১১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে রামপুরা বাজারে দলটির নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের নাশকতা প্রতিরোধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল সকাল সোয়া ৯টার দিকে শুরু হয়। মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, হাই কোর্ট মোড় হয়ে আবার পুরানা পল্টন হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে গিয়ে শেষ হন। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতের প্রার্থী মহানগর দক্ষিনের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, পল্টন থানা জামায়াতের আমির শাহীন আহমেদ খান প্রমুখ। এ সময় জামায়াতের সহস্রাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে, বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের নাশকতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গুলশানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। এদিন বনানী সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে থেকে গুলশান পশ্চিম থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা-১৭ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামান।
বিক্ষোভ মিছিলটি গুলশান, বনানী, মহাখালী ও ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বনানী ১১ নম্বর সড়কে গিয়ে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ডা. এস এম খালিদুজ্জামান বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ সব হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। তিনি আরও দাবি জানান, বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো নাশকতার জবাব দেওয়া হবে।
সমাবেশে জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে পুরো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এরও আগে বুধবার আওয়ামী লীগের নাশকতা ও আগুন সন্ত্রাস প্রতিরোধে সারাদেশের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার কর্মসূচি ঘোষণা করে আট দল। এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে আট দলের নেতৃবৃন্দ সর্বস্তরের জনশক্তিসহ দেশব্যাপী রাজপথে অবস্থান করবেন। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে রাজপথে নামার আহ্বান জানানো হয়েছে।