ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। ভোটের অনুকূল পরিবেশ এখনও তৈরি না হওয়ায় ইসিকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ইসিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরুর প্রথম দিনের প্রথম পর্বে ছয়টি দলের প্রতিনিধি অংশ নিয়ে ভোটের প্রাক পরিবেশ, শঙ্কা, ইসির আন্তরিকতা, আইন সংস্কার নিয়ে কথা বলেন।
এ সময় নির্বাচনি আইনে এখনও কিছু সংস্কারের পাশাপাশি দলের সব স্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব কমানোরও সুপারিশ এসেছে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে।
ইসির এই নির্বাচনি সংলাপে, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি’র চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট নিরাপত্তা সঙ্কট বিরাজ করছে। গত দু’তিন তিনের ঘটনা অবশ্যই বিবেচনায় নেব। তফসিল ঘোষণার পূর্বে সিকিউরিটি অপারেশন করা উচিত, যাতে জনগণের আস্থা ফিরে আসে। সেসঙ্গে নির্বিঘ্নে ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কালো টাকা রোধ, প্রভাবমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, ‘সঠিক সময়ে নির্বাচন চাই। নির্বাচনি পরিবেশ যেন উন্নতি হয় সে ব্যবস্থা নিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আর মহিলা প্রতিনিধি কমিয়ে দিলে ভালো হয়, পুরুষ বাড়িয়ে দিলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। এতো মহিলা প্রতিনিধির প্রয়োজন নেই বলে মনে হয়।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, ‘জামানতের টাকার পরিমাণ কমাতে হবে। নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ইসি নিবন্ধন না দিলেও আদালত থেকে নিবন্ধন নিয়ে আসছে। তাহলে ইসি কাগজপত্র ঠিকমতো দেখছে না? এ বিষয়টি কমিশনের ভালোভাবে দেখতে হবে।’
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি বলেন, ‘সবাই এসে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ নির্বাচন করার কথা বলে। কিন্তু সব নির্বাচনই নিরপেক্ষতা হারোনো হয়, এটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। এটা খুব কঠিন ব্যাপার।’
বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর পক্ষ থেকে জামানাতের টাকা ২০ হাজার টাকা পুননির্ধারণ, নির্বাচন কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার নিয়োগসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।