ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনার পতন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত হবে। এই পতনের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুঝে নিয়েছে, একচ্ছত্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘হাসিনার পতন এমন এক ঐতিহাসিক বার্তা দিয়েছে, যা আগামী একশ বছর বাংলাদেশের রাজনীতিকে সতর্ক করে রাখবে। কেউ আর গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করার সাহস পাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সুস্থ পথে ফিরিয়ে আনতে হলে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। জনগণের আস্থা ছাড়া গণতন্ত্র টেকে না। এজন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আইন ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ভারতের উদাহরণ টেনে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ওখানে প্রধানমন্ত্রীর দলের মুখ্যমন্ত্রীকেও আইনের আওতায় আনা যায়। আমাদের দেশেও এমন শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না থাকে।’
তিনি অভিযোগ করেন, একটি অজ্ঞাত ‘ঐক্য কমিশন’ ভবিষ্যৎ সংসদের ক্ষমতা সীমিত করার চেষ্টা করছে, যা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
আলোচনা সভায় বিএনপির অন্যান্য নেতারা বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য কেবল দলীয় সমঝোতা নয়, বরং জনগণের অধিকার ও জবাবদিহির ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার।’