Friday 14 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণভোটের নতুন তারিখ ও ৩ উপদেষ্টার অপসারণ চায় আটদল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৩০

জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি সমমনা রাজনৈতিক দলের সংবাদ সম্মেলন।

ঢাকা: আলাদাভাবে গণভোটের জন্য নতুন তারিখ ঘোষণা ও তিনজন উপদেষ্টা অপসারণ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি সমমনা রাজনৈতিক দল।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে মগবাজার আলফালাহ মিলনায়তনে আট দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষনে একই দিনে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচনে কথা বলেছেন। সেটা পরিবর্তন করে অবিলম্বে আলাদাভাবে গণভোট করার ঘোষণা করবেন এটা আমরা আশা করি। একই সঙ্গে কমপক্ষে তিন জন উপদেষ্টা আছেন যারা উনাকে বিভ্রান্ত করছেন। আমরা তাদের অপসারণ দাবি করছি। তাদের নাম আজকে বলতে চাই না। তবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের নাম পাঠাবো। যদি তারপরও পরিবর্তন না আসে তাহলে পরে নাম প্রকাশ করবো কি না সেটা ভেবে দেখবো। এছাড়া প্রশাসনে যেসব পরিবর্তন হচ্ছে সেখানে নিরপেক্ষ, সৎ এবং জবাবদিহির আওতায় থাকতে পারে এই মনোভাবের লোকদের নিয়োগ করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম প্রফেসর ইউনূসের মতো একজন বিশাল ব্যক্তিত্ব উনি কোনো অন্যায় চাপে নতি স্বীকার না করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে অটল থেকে সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। কিন্তু গতকাল উনার ভাষনে আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেছি সরকার তাদের নিয়োজিত কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ না করে সেখানে যথেষ্ঠ কাটছাট দিয়ে একটি দলের সাথে ব্যাপক কম্প্রোমাইজ করে জনগণের স্বার্থে নয়। একটি বিশেষ দলের স্বার্থে অনেক পরিবর্তন এনে তার ভাষন দিয়েছেন। যার ফলে জনগণ অত্যন্ত হতাশ হয়েছে।’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, আমরা দেখলাম সরকার স্পষ্টভাবে বলেছেন জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একদিনে হবে। আসলে পুরো জাতি চেয়েছিল গণভোট আলাদাভাবে হবে। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন হলে সংস্কারের গণভোট গুরুত্বহীন হয়ে যাবে।

ডা. তাহের আরও বলেন, আমরা মনে করি এই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে হোক অথবা ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে হোক তারা একটি দলের ফাঁদে পা দিয়েছে এবং সংস্কারকে প্রায় গুরুত্বহীন করে ফেলেছে। এখন প্রতীয়মান হয় যে এ সরকার এখন আর নিরপেক্ষ সরকার নয়। এই সরকার একটি দলের অনুগত অথবা একটি দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য যেনতেন একটি নির্বাচন আয়োজনের জন্যে তাদের প্রচেষ্টা আছে বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, আমরা আট দল এবং আরও কিছু দল আছে আমরা সকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন হোক এ বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সেজন্য আমরা আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে মাঠে কাজ করছি। কিন্তু সরকারের আচরণ আমাদেরকে একথা বিশ্বাস করতে বাধ্য করছে যে এ সরকারের পক্ষে কোনো সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। নির্বাচন অবাধ হওয়ার বিষয়ে আমাদের ভেতরে যথেষ্ঠ সঙ্কা এবং আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ১৬ নভেম্বর আট দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক আছে। সে বৈঠকে সার্বিক করণীয় কি হবে সেব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। আজকে পূর্বনির্ধারিত ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ছিল। সেটা ঢাকার বাইরে চলবে। ঢাকায় যেহেতু সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে সেজন্য এখানে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যমুনার সামনে অবস্থান বা ঘেরাও কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করিনি। আমরা বলেছিলাম ১৬ নভেম্বর শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, কোনো দলের সাথে ব্যালেন্স করা কোনো সরকার প্রধানের দায়িত্ব না। গুরুত্বপূর্ণ হলো দেশ ও জাতির জন্য যেটা উত্তম সেটা তিনি করবেন। তিনি ব্যালেন্স করেছেন এটাই আমি মনে করি একটা নেগেটিভ তথ্য। এখানে জামায়াত আর বিএনপির সাথে ব্যালেন্সের কোনো ইস্যু না। ইস্যু হলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করা।

সংবাদ সম্মেলনে আট দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এমএমএইচ/এনজে
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর