পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার কৃতি সন্তান ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীবের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তবে শুধু ‘রাজীব’ নামেই তিনি সমাধিক পরিচিত। প্রায় দুই শতাধিকেরও বেশি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। খলনায়ক হিসেবে সফল হলেও অনেক চলচ্চিত্রে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান এই অভিনেতা। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) তার চলে যাওয়ার ২১ বছর পূর্ণ হলো।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন রাজীব। ১৯৮১ সালে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় রাজীবের। এরপর কাজী হায়াতের ‘খোকন সোনা’ সিনেমার মাধ্যমে তারকাখ্যাতি পান এই অভিনেতা।
রাজীব চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ফ্রেন্ডস মুভিজ। বিএফডিসির ব্যবস্থাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া জাতীয়তাবাদী চলচ্চিত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সিনেমায় অভিনয় শুরুর আগে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি করতেন রাজীব।
অভিনয়ের পাশাপাশি নেতৃত্বেও অসামান্য দক্ষতার অধিকারী ছিলেন রাজীব। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব ছাড়াও বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংসদের (জাসাস) প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতা বিভাগে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রাজীব। সিনেমাগুলো হলো— হীরামতি (১৯৮৮), দাঙ্গা (১৯৯১), বিদ্রোহ চারিদিকে (২০০০) ও সাহসী মানুষ চাই (২০০৩)।